ইয়াসের প্রভাবে টানা বর্ষণ ও জোয়ারে হাতিয়ায় তিন হাজার পুকুর ভেসে গেছে

ঘূর্ণিঝড় ইয়াসের প্রভাবে টানা বর্ষণ ও জোয়ারে নোয়াখালী জেলার বিচ্ছিন্ন দ্বীপ উপজেলা হাতিয়ায় তিন হাজার মৎস্য পুকুর ভেসে গেছে। বুধবার (২৬ মে) সকাল থেকে জোয়ারের পানি বাড়তে থাকায় ঘেরের পাড় ভেঙে ও বাঁধ উপচে পানি ঢুকতে থাকে। ফলে চাষিদের কয়েক কোটি টাকার মাছ পানিতে ভেসে গেছে।

নোয়াখালী জেলা মৎস্য কর্মকর্তা ড. মোতালেব হোসেন ঢাকা পোস্টকে বলেন, হাতিয়া উপজেলার ৩ হাজার ৫০টি মৎস্য পুকুর ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এছাড়াও ২০০ ঘের ক্ষতিগ্রস্ত হয়। এতে চাষিদের ১৫ কোটি ৭৮ লাখ টাকার ক্ষতি হয়েছে।

তবে ঘেরের সংখ্যা ও ক্ষতির পরিমাণ আরও বেশি বলে দাবি করেছেন হাতিয়া উপজেলা মৎস্য ব্যবসায়ী সমিতির সভাপতি আক্তার হোসেন। তিনি ঢাকা পোস্টকে বলেন, ইয়াস ও জোয়ারের প্রভাবে এখন পর্যন্ত হাতিয়ার তিন থেকে সাড়ে তিন হাজার মৎস্য পুকুর ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এছাড়াও ৫ শতাধিক ঘের ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।

তিনি আরও বলেন, এতে চাষিদের অন্তত ২০ থেকে পঁচিশ কোটি টাকার ক্ষতি হয়েছে। বয়ারচর, চরঈশ্বর, নিঝুম দ্বীপসহ বিভিন্ন এলাকার বড় বড় ঘের জোয়ারে ভেসে গেছে। বেড়িবাঁধের বাইরে থাকা ঘেরগুলোর বেশি ক্ষতি হয়েছে।

মৎস্য চাষী মোহাম্মদ মিলন ঢাকা পোস্টকে বলেন, রাতের বৃষ্টিতে ঘেরের পাড় দুর্বল হয়ে যায়। সকালের জোয়ার এবং ঘূর্ণিঝড় ইয়াসের প্রভাবে আমার ঘের পাড়ের কয়েক জায়গা ভেঙে পানি প্রবেশ করে। এতে আমার কয়েক লাখ টাকার মাছ বের হয়ে গেছে।

চরঈশ্বর ইউনিয়নের ঘেরচাষি হেলাল দুবাই মাঝি ঢাকা পোস্টকে বলেন, একদিকে বৃষ্টি, তারপর আবার জোয়ারের পানি। কতক্ষণ আর ঠিক থাকবে। আমার ঘের তলিয়ে সব শেষ হয়ে গেছে। আমার প্রায় ২০ লাখ টাকার মাছ বেরিয়ে গেছে। সামনের দিনগুলো কীভাবে চলব মাথায় আসছে না।

ড. মো. মোতালেব হোসেন ঢাকা পোস্টকে বলেন, মাঠ পর্যায়ের কর্মকর্তাদের তথ্য অনুযায়ী জেলার তিন উপজেলা হাতিয়া, সুবর্ণচর এবং কোম্পানীগঞ্জের ক্ষতিগ্রস্ত চাষিদের তালিকা তৈরি শুরু হয়েছে। এসব চাষিদের সহায়তা দেওয়ার জন্য মৎস্য বিভাগের পক্ষ থেকে চেষ্টা করা হবে।

হাসিব আল আমিন/এমএসআর