মসজিদে প্রবেশ করেছে নোনা পানি

ঘূর্ণিঝড় ইয়াসের প্রভাবে জোয়ারের পানিতে খুলনার উপকূলীয় উপজেলা কয়রার বিস্তীর্ণ এলাকা প্লাবিত হয়েছে। শুক্রবার (২৮ মে) দুপুরে জোয়ারের পানিতে নতুন করে প্লাবিত হয় অনেক এলাকা। এসব এলাকার বাড়ি-ঘর, স্কুল-মাদরাসা ও মসজিদে প্রবেশ করে নোনা পানি। 

এ অবস্থায় সেখানকার একটি মসজিদে আজ হাঁটুপানিতে জুমার নামাজ আদায় করা হয়। উপজেলার মহারাজপুর ইউনিয়নের শিমলারাইট পশ্চিমপাড়া জামে মসজিদে হাঁটুসমান পানিতে জুমার নামাজ আদায় করেন মুসল্লিরা। নামাজ শেষে দোয়ায় নোনা পানি থেকে উপকূলের মানুষকে রক্ষার জন্য আল্লাহর দরবারে ফরিয়াদ জানান তারা।

স্থানীয় বাসিন্দা বায়েজিদ হোসেন বলেন, ভেঙে যাওয়া বেড়িবাঁধ দিয়ে প্রতিনিয়ত পানি ঢুকছে লোকালয়ে। রাস্তা উপচে ঘরের মধ্যে পানি প্রবেশ করেছে। হাঁটুসমান পানির মধ্যে মানুষ বসবাস করছেন। এ অবস্থায় উপায় না থাকায় হাঁটুসমান পানির মধ্যেই নামাজ আদায় করতে হয়েছে।

মসজিদের ইমাম হাফেজ মুজিবুর রহমান ঢাকা পোস্টকে বলেন, আজকের জুমার নামাজ হয়েছে ১২টা ৪৫ মিনিটে। অন্যদিন জামাত দেড়টায় হলেও মুসল্লিদের পরামর্শক্রমেই একটু আগেই জামাত আদায় করা হয়। কারণ যদি দেড়টায় জামাত পড়ানো হতো তাহলে পানি আরও বৃদ্ধি পেত।

তিনি আরও বলেন, মসজিদের সামনের রাস্তায় জামাত পড়াব সে উপায়ও ছিল না। কারণ সেখানেও পানি ছিল। আর জুমার নামাজ জামাতে পড়তেই হতো। যে কারণে একটু আগেভাগেই নামাজ আদায় করা হয়েছে। হাঁটুপানিতে দাঁড়িয়েই জামাত করা হয়েছে।  

মহারাজপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান জিএম আব্দুল্লাহ আল মামুন লাবলু বলেন, আজও ভেঙে যাওয়া বাঁধ থেকে জোয়ারের পানি প্রবেশ করেছে। যে কারণে অনেক এলাকা প্লাবিত হয়েছে।

মোহাম্মদ মিলন/এমএসআর/জেএস