নওগাঁর পত্নীতলায় সড়কে গাছ ফেলে বাসে ডাকাতি এবং পাবনার কয়েকটি গাড়িতে ডাকাতির সঙ্গে জড়িত আন্তঃজেলা ডাকাত দলের ৬ সদস্যকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। এ সময় তাদের কাছ থেকে ডাকাতির কাজে ব্যবহৃত মাইক্রোবাস ও বিভিন্ন ধরনের দেশীয় অস্ত্রসহ লুণ্ঠিত মালামাল উদ্ধার করা হয়েছে। 

সোমবার (৩ মার্চ) দুপুর ২টার দিকে নিজ কার্যালয়ের সম্মেলন কক্ষে সংবাদ সম্মেলনে নওগাঁর পুলিশ সুপার মোহাম্মদ সাফিউল সারোয়ার এসব তথ্য জানান। 

গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন- জয়পুরহাটের শামীম ইসলাম সদুল (২৭), রঞ্জিত চন্দ্র বর্মন (৩০), আব্দুল লতিফ ওরফে নাঈম (২৭), গাইবান্ধার শাহারুল ইসলাম (৩৭), শহিদুল ইসলাম (৪০) ও বগুড়ার শাহাদাত হোসেন (৪০)।

পুলিশ সুপার সাফিউল সারোয়ার বলেন, গত ২২ ফেব্রুয়ারি রাতে নওগাঁর পত্নীতলায় একটি বিআরটিসি বাসে ডাকাতির ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় পুলিশের একাধিক টিম মাঠে নামে এবং তদন্ত শুরু করে। এরই ধারাবাহিকতায় জয়পুরহাট, গাইবান্ধা ও বগুড়ায় অভিযান চালিয়ে ছয় ডাকাতকে গ্রেপ্তার করা হয়। তাদের মধ্যে তিনজনকে জয়পুরহাটের কালাই থেকে, দুইজনকে গাইবান্ধার গোবিন্দগঞ্জ থেকে এবং একজনকে বগুড়ার কাহালু থেকে গ্রেপ্তার করা হয়। এ সময় তাদের কাছ থেকে লুণ্ঠিত মোবাইল, একজোড়া কানের দুলসহ ডাকাতির কাজে ব্যবহৃত দেশীয় অস্ত্র উদ্ধার করা হয়েছে। উদ্ধারকৃত অস্ত্রের মধ্যে রয়েছে করাত, কয়েকটি হাঁসুয়া, একটি প্লাস এবং ডাকাতির কাজে ব্যবহৃত একটি হাইয়েস মাইক্রোবাস।

পুলিশ সুপার আরও বলেন, নওগাঁয় গ্রেপ্তারকৃত ডাকাতদের মধ্যে ৫ জন গত ২৮ ফেব্রুয়ারি পাবনার সাঁথিয়ায় সংঘটিত ডাকাতির সাথেও জড়িত ছিল বলে পুলিশের কাছে স্বীকার করেছে। গ্রেপ্তারকৃতদের মধ্যে শহিদুলের বিরুদ্ধে ছয়টি, শাহারুলের বিরুদ্ধে দুটি, শামীমের বিরুদ্ধে দুটি এবং অন্যান্যদের বিরুদ্ধে একটি করে ডাকাতির মামলা রয়েছে। তাদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণের প্রক্রিয়া চলছে এবং অন্য ডাকাত সদস্যদের গ্রেপ্তারে অভিযান অব্যাহত রয়েছে।

সংবাদ সম্মেলনে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার গাজিউর রহমান ও ফারজানা হোসেনসহ পুলিশের অন্যান্য কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

মনিরুল ইসলাম শামীম/আরএআর