কিশোরগঞ্জে জমি-সংক্রান্ত বিরোধের জেরে প্রতিপক্ষের হামলায় শরিফুল ইসলাম (৩৫) নামে এক যুবক নিহত হয়েছেন। এ ঘটনায় আহত হয়েছেন আরও অন্তত ৮ থেকে ১০ জন। এর মধ্যে দুইজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক। এ ছাড়া ঘটনার সঙ্গে জড়িত সন্দেহে পাঁচজনকে আটক করেছে পুলিশ।

সোমবার (৩ মার্চ) বিকেলে কিশোরগঞ্জ সদর উপজেলার মহিনন্দ ইউনিয়নের মাইজপাড়া গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। একই এলাকার আবদুর রাশিদের ছেলে এখলাস মিয়ার সঙ্গে জমি নিয়ে বিরোধ ছিল আবু সালেহ ও তার স্বজনদের। এ নিয়ে উভয় পক্ষের মধ্যে নতুন করে কথা কাটাকাটির এক পর্যায়ে এ ঘটনা ঘটে।

স্থানীয় বাসিন্দারা আহতদের উদ্ধার করে শহীদ সৈয়দ নজরুল ইসলাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিলে সেখানে দায়িত্বরত চিকিৎসক শরিফুল ইসলামকে মৃত ঘোষণা করেন। মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য মর্গে পাঠানো হয়েছে।

আহতদের মধ্যে পাঁচজনকে কিশোরগঞ্জ ২৫০ শয্যা জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। তারা হলেন, এখলাস মিয়া, রাজন, ইদ্রিস মিয়া, আফসর আলী ও তানিয়া সুবর্ণা।

নিহত শরিফুল ইসলাম (৩৫) কিশোরগঞ্জ সদর উপজেলার মহিনন্দ ইউনিয়নের আগপাড়া গ্রামের মজলু মিয়ার ছেলে। তিনি মহিনন্দ বাজারে একটি সেলুন পরিচালনা করতেন।

স্থানীয় বাসিন্দা ও পুলিশ সূত্রে জানা যায়, জমি-সংক্রান্ত বিরোধের জেরে এদিন ইফতারের পর প্রতিপক্ষের লোকজন দেশীয় অস্ত্র নিয়ে এখলাস মিয়ার বাড়িতে গেলে এ নিয়ে উভয় পক্ষের মধ্যে নতুন করে কথা কাটাকাটি হয়। এক পর্যায়ে এই হামালার ঘটনা ঘটে। হামলায় এখলাস মিয়া ও তার ফুফাতো ভাই শরিফুল ইসলামসহ অন্তত ১০ জন গুরুতর আহত হন।

স্বজনরা জানান, শরিফুল ইসলাম তার মামার বাড়িতে ইফতারের দাওয়াত খেতে গেয়েছিলেন। সেখানে এই হামলার শিকার হন। তাকে ফিরতে হলো লাশ হয়ে। শরিফুলকে উপর্যুপরি কুপিয়ে ও পিটিয়ে হত্যা করা হয়।

কিশোরগঞ্জ মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আব্দুল্লাহ আল মামুন ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।

তিনি বলেন, এ ঘটনায় পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে। জমি নিয়ে বিরোধের জের ধরে দুই পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ হয়। এ সময় শরিফুল ইসলাম নিহত হন। এ ঘটনায় জড়িত সন্দেহে পাঁচজনকে আটক করেছে।

ওসি আরও বলেন, মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছে। ঘটনাস্থলে পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।

মোহাম্মদ এনামুল হক হৃদয়/এএমকে