গ্রামের সহজ-সরল মানুষকে একটি কিডনি ৪ লাখ থেকে সাড়ে ৭ লাখ টাকা বিক্রির প্রলোভন দেওয়ার অভিযোগে জয়পুরহাটের ক্ষেতলাল থেকে দুইজনকে আটক করেছে পুলিশ। শনিবার (২৯ মে) দুপুরে উপজেলার বাড়ইল নলপুকুর গ্রাম থেকে তাদের আটক করা হয়। 

আটকরা হলেন- কালাই উপজেলার বফলগাড়ী গ্রামের মৃত তয়েজ উদ্দিন আলীর ছেলে দুলু মিয়া ওরফে ডংকার (৬৪) ও একই গ্রামের আব্দুল করিমের ছেলে নজমুল ওরফে কেরামত আলী (৪৫)।

এ ব্যাপারে শনিবার সন্ধ্যায় আক্কেলপুর উপজেলার বাড়ইল গ্রামের বাসিন্দা গোলাম মোস্তফা বাদী হয়ে ক্ষেতলাল থানায় মামলা দায়ের করেছেন। 

বাদী গোলাম মোস্তফা ঢাকা পোস্টকে বলেন, দুদু মিয়া ও নজমুল আমাদের গ্রামসহ পার্শ্ববতী এলাকায় কিছু দিন ধরে ঘোরাফেরা করছিলেন। তারা গ্রামের সহজ-সরল মানুষকে প্রতিটি কিডনি ৪ লাখ থেকে সাড়ে ৭ লাখ টাকায় বিক্রির প্রলোভন এবং ক্রয়ের প্রস্তাব দিয়ে আসছিল। তারা জানায়, দেহের একটি কিডনি বিক্রি করলে কোনো সমস্যা হয় না। আমরা বিষয়টি স্থানীয়দের জানালে স্থানীয়রা পুলিশকে খবর দেয়। পুলিশ এসে তাদের থানায় নিয়ে যায়। পরে আমি বাদী হয়ে ক্ষেতলাল থানায় মামলা দায়ের করি।

ক্ষেতলাল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) নীরেন্দ্রনাথ মন্ডল ঢাকা পোস্টকে বলেন, কিডনি বিক্রির প্রলোভন দেওয়ায় দুইজনকে আটক করা হয়েছে। গোলাম মোস্তফা নামে এক গ্রামবাসী শনিবার সন্ধ্যায় ১৯৯৯ সালের মানবদেহের অঙ্গ প্রত্যঙ্গ সংযোজন আইন এর ১০ (১) তৎসহ ৪২০ পেনাল কোড ১৮৬০ প্রতারণার অপরাধে ক্ষেতলাল থানায় একটি মামলা দায়ের করেছেন। গ্রেফতারদের রোববার (৩০ মে) সকালে আদালতে পাঠানো হবে।

চম্পক কুমার/এসপি