চাঁপাইনবাবগঞ্জের জেলা প্রশাসক মঞ্জুরুল হাফিজ বলেন, জেলায় সাতজনের দেহে করোনার ভারতীয় ভ্যারিয়েন্ট পাওয়া গেছে। তবে ভারতীয় ভ্যারিয়েন্ট শনাক্ত হওয়া ব্যক্তিদের কেউই ভারতফেরত নয়। তারা সবাই চাঁপাইনবাবগঞ্জেই অবস্থান করছিলেন। শনিবার (২৯ মে) সন্ধ্যায় তিনি এ তথ্য জানান। 

তিনি বলেন, জিনোম সিকোয়েন্সের জন্য যে ৪২টি নমুনা পাঠানো হয়েছিল, সেগুলোর মধ্যে সাতজনের শরীরে করোনার ভারতীয় ধরন পাওয়া গেছে। তবে ওই সাতজনের নাম-ঠিকানা এখনো প্রশাসনের হাতে আসেনি। তবে যে ৪২ জনের নমুনা পাঠানো হয়েছিল, তাদের প্রত্যেকের বাড়ি বাড়ি গিয়ে খোঁজখবর নেওয়ার চেষ্টা করেছে প্রশাসন।

শুক্রবার (২৮ মে) চাঁপাইনবাবগঞ্জে ২৫০ শয্যাবিশিষ্ট জেলা হাসপাতালে চারজন ও রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে একজনের মৃত্যুর ঘটনায় প্রশাসন আরও সতর্ক অবস্থান নিয়েছে। লকডাউন কার্যকর করতে জেলায় ১২টি ভ্রাম্যমাণ আদালত কাজ করছে। 

করোনা সংক্রমণ, মৃত্যু ও ভারতীয় ভ্যারিয়েন্ট প্রতিরোধে চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলায় সাত দিনের কঠোর লকডাউনের পঞ্চম দিন চলছে। কঠোর লকডাউন চলাকালে জেলায় গত ২৪ ঘণ্টায় মৃত্যু হয়েছে ৪ জনের। জেলায় ভারতীয় ভ্যারিয়েন্ট ধরা পড়েছে ৭ জনের দেহে। এসব রোগীদের আবারও পরীক্ষার কথা বলছেন জেলা সিভিল সার্জন ডা. জাহিদ নজরুল চৌধুরী। 

এদিকে জেলা শহরের পাশাপাশি মফস্বলেও কঠোরভাবে লকডাউন কার্যকরে শনিবার থেকে মাঠে তৎপর রয়েছে জেলা প্রশাসন ও জেলা পুলিশের বিভিন্ন স্তরের কর্মকর্তা ও সদস্যরা। জেলা শহরের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ মোড়ে এবং জেলার বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ স্থানে প্রশাসনের তৎপরতা দেখা গেছে। লকডাউনে দূরপাল্লার ও আন্তঃজেলা বাস ও ট্রেনসহ যানবাহন বন্ধ রয়েছে। মার্কেট ও দোকানপাট বন্ধ রয়েছে। তবে দেশের দ্বিতীয় বৃহত্তম স্থলবন্দর সোনামসজিদ স্থলবন্দরের কার্যক্রম স্বাভাবিক গতিতে চলছে। 

সিভিল সার্জন অফিস সূত্রে জানা যায়, জেলায় শনাক্ত হওয়া ভারতীয় ভ্যারিয়েন্ট বহনকারী সাতজনের মধ্যে পাঁচজনই সদর উপজেলার। বাকি দুইজন শিবগঞ্জ উপজেলার। তাদের মধ্যে পাঁচজন পুরুষ এবং দুইজন নারী রয়েছে। দুই নারীর একজন শিবগঞ্জের আরেকজন সদর উপজেলার। তবে তাদের নাম-পরিচয় এখনো নিশ্চিত হতে পারেনি জেলা স্বাস্থ্য দফতর। 

জাহাঙ্গীর আলম/এসপি