চাঁদপুরে ব্যাংক কর্মকর্তার ঝুলন্ত মরদেহ
চিরকুটে লেখা ‘জাভেদ ভাইকে মাফ করে দিলাম’
চাঁদপুরের শাহরাস্তিতে জনতা ব্যাংকের কর্মকর্তা রাকিব হাসানের (২৮) ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। মঙ্গলবার (১৫ এপ্রিল) আপন প্লাজার পঞ্চম তলা থেকে তার মরদেহ উদ্ধার করা হয়।
রাকিব হাসান শরীয়তপুরের জাজিরা উপজেলার পাচুখার কান্দির সিরাজ সরদারের ছেলে। তিনি শাহারাস্তি উপজেলার সুচিপাড়া বাজার জনতা ব্যাংকের লোন অফিসার ছিলেন।
বিজ্ঞাপন
পুলিশ ও স্থানীয়রা জানান, রাকিব হাসান আপন প্লাজার পঞ্চম তলার এক রুমে একা ভাড়া থাকতেন। মঙ্গলবার সকালে সিলিং ফ্যানের রডের সঙ্গে গলায় রশি লাগানো অবস্থায় তার মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে তিনি আত্মহত্যা করেছেন।
শাহরাস্তি থানা সূত্রে জানা গেছে, রাকিব হাসানের মরদেহ উদ্ধারের পর সেখানে একটি চিরকুট পাওয়া যায়, যেখানে লেখা ছিল ‘জাভেদ ভাইকে আমি মাফ করে দিলাম।’
বিজ্ঞাপন
এর আগে সোমবার (১৪ এপ্রিল) ৮৪ লাখ টাকা আত্মসাতের অভিযোগে ওই ব্যাংকের সিনিয়র অফিসার জাবেদ হোসাইনকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। তিনি বর্তমানে জেলহাজতে আছেন।
এ ঘটনায় কী থাকতে পারে এমন প্রশ্ন এলাকাবাসীর। কী এমন ঘটেছে যার কারণে আত্মহত্যার পথ বেছে নিতে হয়েছে রাকিব হাসানকে? প্রাণচঞ্চল ও মেধাবী রাকিব ৪৪তম বিসিএস লিখিত পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়েছিলেন। এ ছাড়া তিনি আগেই ব্যাংকে সিনিয়র অফিসার হিসেবে মনোনীত হয়েছেন। এই মেধাবী অফিসারের আত্মহত্যা সহজভাবে মেনে নিতে পারছেন না পরিবারের সদস্যরা।
ধারণা করা হচ্ছে, জনতা ব্যাংকের ৮৪ লাখ টাকা আত্মসাতের পেছনে জাবেদ হোসাইন সিনিয়র অফিসার রাকিব হাসানকে বিপদে ফেলেছেন বা রাকিবকে ফাঁদে ফেলে জাবেদ উক্ত টাকা হাতিয়ে নিয়েছেন। যার ফলস্বরূপ রাকিব হাসান বিষয়টি স্বাভাবিকভাবে নিতে না পেরে আত্মহত্যার পথ বেছে নিয়েছেন।
এ বিষয়ে শাহরাস্তি মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবুল বাসার জানান, মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্যে মর্গে পাঠানো হয়েছে। শাহরাস্তি থানা পুলিশ ঘটনার রহস্য উন্মোচনে কাজ করছে। এ ছাড়াও নিহত রাকিব হাসান এবং অর্থ আত্মসাতের বিভিন্ন প্রমাণ দুদকে পাঠানো হয়েছে। দুদক দুইটি বিষয় নিয়েই তদন্ত করবে।
আনোয়ারুল হক/এমজেইউ