ঝিনাইদহ সদর উপজেলার সাব-রেজিস্ট্রারের কার্যালয়ে বিভিন্ন অনিয়ম ও দুর্নীতির অভিযোগে অভিযান পরিচালনা করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। অভিযানে দলিল রেজিস্ট্রেশন, নকল উত্তোলনসহ অন্যান্য কাজে সেবা প্রার্থীদের হয়রানি এবং ঘুষ দাবিসহ নানাবিধ অনিয়ম- দুর্নীতির অভিযোগের ভিত্তিতে অভিযান পরিচালনা করা হয়।

বুধবার (১৬ এপ্রিল) দুপুরে ঝিনাইদহ সদর সাব-রেজিস্ট্রারের কার্যালয়ে দুদক ঝিনাইদহ সমন্বিত জেলা কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক মো. বজলুর রহমানের নেতৃত্বে তিন সদস্যের একটি টিম অভিযান পরিচালনা করেন।
 
এ সময় দুদকের কর্মকর্তারা ঝিনাইদহ সদর সাব-রেজিস্ট্রারের কার্যালয়ে বিভিন্ন কক্ষে তল্লাশি করেন। দলিল রেজিস্ট্রি করতে আসা সাধারণের কাছে অতিরিক্ত ফি নেওয়া, দলিলসহ বিভিন্ন অনিয়ম ও দুর্নীতির যাচাই বাছাই করেও কোনো অনিয়ম-দুর্নীতির প্রমাণ পাওয়া যায়নি।

দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) ঝিনাইদহ সমন্বিত জেলা কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক মো. বজলুর রহমান ঢাকা পোস্টকে বলেন, ঝিনাইদাহ সদর উপজেলা সাব রেজিস্টারকে অফিসে পাওয়া যায়নি। পরবর্তীতে কার্যালয়ের দলিল রেজিস্ট্রেশন, তল্লাশি, নকল উত্তোলনসহ অন্যান্য কাজে সেবা প্রার্থীদের হয়রানি এবং ঘুষ দাবিসহ নানাবিধ অনিয়ম- দুর্নীতির অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে একটি অভিযান পরিচালনা করা হয়।

অভিযানকালে দুদক টিম ছদ্মবেশে সাব-রেজিস্ট্রার অফিসের সার্বিক পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করে। সেবা প্রার্থীদের নিকট দলিল রেজিস্ট্রেশন, তল্লাশি, নকল উত্তোলনে উক্ত দপ্তরের হয়রানির বিষয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করে। পরবর্তীতে সাব রেজিস্ট্রারের কার্যালয় হতে প্রয়োজনীয় রেকর্ড পত্র সংগ্রহ করা হয়। কিছু নির্দিষ্ট অভিযোগের ভিত্তিতে অভিযান পরিচালনা করা হয়। কিন্তু বাস্তবে অভিযোগের সত্যতা মেলেনি। 

সাব রেজিস্ট্রারের কার্যালয় থেকে প্রয়োজনীয় রেকর্ড পত্র সংগ্রহ করা হয়েছে। রেকর্ডপত্র পর্যালোচনা করে দুর্নীতি দমন কমিশন বরাবর বিস্তারিত প্রতিবেদন দাখিল করা হবে। কোনো ধরনের দুর্নীতির অভিযোগ পেলে অবশ্যই আপনাদেরকে জানানো হবে।

দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) ঝিনাইদহ সমন্বিত জেলা কার্যালয়ের উপ-পরিচালক তরুণ কান্তি ঘোষ ঢাকা পোস্টকে বলেন, সুনির্দিষ্ট অভিযোগের ভিত্তিতে সহকারী পরিচালকে প্রধান করে তিন জনের একটি টিম ঝিনাইদহ সদর উপজেলার সাব-রেজিস্ট্রার অফিসে অভিযান পরিচালনা করেন। সরজমিনে ভুক্তভোগীদের বিভিন্ন কথা রেকর্ড করা হয়েছে। সাব-রেজিস্ট্রার অফিস থেকে রেকর্ড পত্র সংগ্রহ করা হয়েছে। সেগুলো পর্যালোচনা করে দুর্নীতি দমন কমিশন প্রধান কার্যালয় বরাবর প্রতিবেদন দাখিল করা হবে। 

আব্দুল্লাহ আল মামুন/আরকে