মিয়া গোলাম পরওয়ার
শেখ হাসিনা না পালালে স্বৈরাচারীর নিষ্ঠুর পরিণতি দেখতো দুনিয়া
জামায়াতে ইসলামীর সেক্রেটারি জেনারেল অধ্যাপক মিয়া গোলাম পরওয়ার বলেছেন, ৫ আগস্ট শেখ হাসিনা যদি পালিয়ে না যেত, গণভবনে অবস্থান করলে দুনিয়া দেখতো পতিত স্বৈরাচারী সরকারের কী নিষ্ঠুর পরিণতি হয়।
শনিবার (১৯ এপ্রিল) বিকেলে পার্বত্য জেলা বান্দরবানের ঐতিহাসিক রাজার মাঠে জামায়াতে ইসলামীর উদ্যোগে দীর্ঘ ১৮ বছর পর বিশাল কর্মী ও সুধী সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।
বিজ্ঞাপন
মিয়া গোলাম পরওয়ার বলেন, শেখ হাসিনা একজন খুনি, লুণ্ঠনকারী, নির্যাতনকারী। তিনি পালিয়ে গিয়ে প্রমাণ করেছেন বাংলাদেশের জনগণের ওপর তিনি কী অমানুষিক নির্যাতন করেছেন। আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে কেউ ঘরে থাকতে পারেনি। মসজিদে তিনজন একসাথে বসে কথা বলতে পারেনি। ইসলামিক বই পড়লে জঙ্গি বই বলেছে। মামলা হামলায় হাজারো নেতাকর্মী জর্জরিত হয়েছে।
তিনি বলেন, বান্দরবান থেকে গুম হওয়া ছাত্রনেতা জয়নাল আবেদিনের খবর আয়নাঘরের মাস্টারমাইন্ড শেখ হাসিনাকেই দিতে হবে।
বিজ্ঞাপন
জামায়াতে ইসলামীর বান্দরবান জেলা আমির এস এম আবদুস সামাদ আজাদের সভাপতিত্বে সমাবেশে বিশেষ অতিথির বক্তব্যে জামায়াতে ইসলামীর চট্টগ্রাম মহানগর আমির আলহাজ শাহজাহান চৌধুরী আওয়ামী লীগকে উদ্দেশ করে বলেন, শেখ হাসিনা পালালো কেন? তিনি শেখের বেটি হলে পালিয়ে যেতেন না।
শাহজাহান চৌধুরী বলেন, স্বাধীনতার পর মানবেন্দ্র লারমা মরহুম শেখ মুজিবুর রহমানের কাছে গেলেন। তিনি (শেখ মুজিব) বললেন- লারমা, তোমরা সকলে বাঙালি হয়ে যাও। কেন বলা হলো? শেখ মুজিব যদি সেই দিন পাহাড়ের চাকমা, মারমাসহ ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠী সম্প্রদায়ের মানুষদের মনে বিদ্বেষ না দিতেন তাহলে পাহাড়ের এই অঞ্চলে কোনো দিন বিশৃঙ্খলা হতো না।
তিনি বলেন, পার্বত্য অঞ্চলের কোনো জনগোষ্ঠীর সাথে জামায়াতে ইসলামীর কোনো বিরোধ নাই। আমরাও তাদের অধিকার চাই। মানুষের ওপরে কোনো আইডোলজি চাপিয়ে দেওয়া জামায়াতে ইসলামী বিশ্বাস করে না।
এ সময় তিনি আগামী নির্বাচনে বান্দরবান জেলা থেকে জামায়াতে ইসলামীর মনোনীত সাংসদ এডভোকেট আবুল কালামের পক্ষে সকলকে সুসংগঠিত হওয়ার আহ্বান জানান।
বান্দরবান জেলা জামায়াতের সেক্রেটারি মাওলানা আবদুল আওয়ালের সঞ্চালনায় সমাবেশে আরও বক্তব্য দেন জেলা নায়েবে আমির অ্যাডভোকেট আবুল কালাম, রাঙ্গামাটি জেলা আমির অধ্যাপক আবদুল আলীম, খাগড়াছড়ি জেলা আমির অধ্যাপক সৈয়দ আবদুল মোমেন, চট্টগ্রাম উত্তর জেলা আমির আলাউদ্দীন সিকদার প্রমুখ।
শহীদুল ইসলাম/আরএআর