সৈয়দ আব্দুল্লাহ মু. তাহের
আমাদের সুযোগ দিন, ব্যর্থ হলে জাতির সামনে মাথা নত করে চলে যাব
জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় নায়েবে আমির ডা. সৈয়দ আব্দুল্লাহ মু. তাহের বলেছেন, স্বাধীনতা-সার্বভৌমত্ব রক্ষায় আমরা আপস করিনি, করব না। ভারতের আধিপত্যবাদী মনোভাবকে এই জাতি ভয় পায় না। ভারত যদি মিসাইল ছোড়ে, আমরাও জবাব দেব। তবে আমরা যুদ্ধ চাই না, চাই সম্মান ও ন্যায়ের রাজনীতি।
শনিবার (১০ মে) বিকেলে সাতক্ষীরার কালিগঞ্জ বাসস্ট্যান্ড সংলগ্ন শহীদ আব্দুস সামাদ স্মৃতি ময়দানে উপজেলা জামায়াতের কর্মী সম্মেলনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
বিজ্ঞাপন
সৈয়দ আব্দুল্লাহ মু. তাহের বলেন, আমরা ইসলামে বিশ্বাসী, ইসলাম সন্ত্রাসকে সমর্থন করে না। আমাদের রাজনীতি মানবিক, ন্যায়ের পক্ষে এবং জনকল্যাণমূলক। পাঁচ দফা প্রস্তাবনার মাধ্যমে আমরা একটি সৎ, স্বচ্ছ, দায়িত্বশীল রাজনৈতিক সংস্কৃতির প্রতিশ্রুতি দিচ্ছি।
নির্বাচন ব্যবস্থা সংস্কারে জামায়াতের অবস্থান তুলে ধরে তিনি বলেন, কেয়ারটেকার সরকারের অধীনে সকল দলের অংশগ্রহণে সুষ্ঠু নির্বাচনের দাবিতে আমরা আন্দোলন চালিয়ে যাচ্ছি। মানুষের ভোটাধিকার ফিরিয়ে দেওয়া, বাকস্বাধীনতা ও ন্যায়বিচার নিশ্চিত করাই আমাদের লক্ষ্য।
বিজ্ঞাপন
সৈয়দ আব্দুল্লাহ মু. তাহের বলেন, আজ দেশের মানুষ আওয়ামী লীগ, বিএনপি, জাতীয় পার্টির শাসন দেখেছে। এখন দরকার পরীক্ষিতভাবে সৎ একটি বিকল্প। সেই বিকল্প হচ্ছে জামায়াত। পাঁচ বছরের জন্য আমাদের সুযোগ দিন, আমরা ব্যর্থ হলে জাতির সামনে মাথা নত করে চলে যাব।
তিনি বলেন, সবার জন্য বাসস্থান, খাদ্য, ফ্রি শিক্ষা, উন্নত স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিত করব। আমরা নারীর মর্যাদা রক্ষা করব, সব ধর্মের মানুষের সমান অধিকার নিশ্চিত করব। আল-কোরআনের আলোকে সুশাসন প্রতিষ্ঠা করব।
ফ্যাসিবাদ, দখলবাজি, চাঁদাবাজি ও দুর্নীতির বিরুদ্ধে সতর্ক থাকার আহ্বান জানিয়ে এই জামায়াত নেতা বলেন, দেশের মানুষ আগের শাসকদের অপশাসন ভুলে যায়নি। আজও নতুন মুখে পুরোনো দুর্নীতি ফিরিয়ে আনার চেষ্টা চলছে। আমাদের সজাগ থাকতে হবে।
সম্মেলনে সভাপতিত্ব করেন উপজেলা জামায়াতের আমির অধ্যাপক আব্দুল ওহাব সিদ্দিকী। পরিচালনায় ছিলেন সেক্রেটারি আব্দুর রউফ ও মাওলানা আনোয়ারুল ইসলাম।
বিশেষ অতিথির বক্তব্য দেন মাওলানা আবুল কালাম আজাদ, হাফেজ মুহাদ্দিস রবিউল বাশার, উপাধ্যক্ষ শহিদুল ইসলাম মুকুল, মাওলানা আজিজুর রহমান, গাজী নজরুল ইসলাম, মাস্টার শফিকুল আলম, ওমর ফারুক, মাহবুবুল আলম প্রমুখ।
ইব্রাহিম খলিল/আরএআর