জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল মাওলানা রফিকুল ইসলাম খান বলেছেন, যারাই ফ্যাসিবাদের সঙ্গে দস্তি পাকাবেন, বন্ধুত্ব করবেন, আপনাদেরকেও একই কাতারে দেখবে বাংলাদেশের মানুষ। বাংলাদেশের মানুষ আর কোনো ফ্যাসিবাদী কায়েম হতে দেবে না। আমরা আর কোনো ফ্যাসিস্ট প্রতিষ্ঠিত হতে দেবো না।

রোববার (১১ মে) বিকেলে সাঁথিয়া সরকারি ডিগ্রি কলেজ মাঠে জামায়াতের সাবেক আমির মাওলানা মতিউর রহমান নিজামীর শাহাদাত বার্ষিকী উপলক্ষে আলোচনা সভা ও দোয়া মাহফিলে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

মাওলানা রফিকুল ইসলাম খান বলেন, অনেকেই যেনতেন নির্বাচনের মাধ্যমে ক্ষমতায় আসার স্বপ্ন দেখছে। বাংলাদেশে আর কোনো ভোট ডাকাত হবে না। যেনতেন নির্বাচন হতে দেওয়া হবে না। অন্তর্বর্তী সরকারকে জাতীয় নির্বাচনের আগে স্থানীয় নির্বাচন করতে হবে। তার আগে সব গণহত্যার বিচার করতে হবে। গণহত্যাকারীদেরকে ফাঁসির মঞ্চে ঝোলাতে হবে। যুদ্ধাপরাধের বিচারের নামে যাদেরকে হত্যা করা হয়েছে, শহীদ করা হয়েছে—এইসব হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে জড়িত সব কর্মকর্তা, সাক্ষী ও বিচারপতিদের বিচার করতে হবে।

এদিন মতিউর রহমান নিজামীর ছেলে ব্যারিস্টার নাজিবুর রহমান মোমেনের সভাপতিত্বে বক্তব্য দেন, জেলা জামায়াতের আমির অধ্যাপক আবু তালেব মন্ডল, দেলোয়ার হোসেন সাঈদীর ছেলে শামীম সাঈদী, মাওলানা আব্দুস সোবহানের ছেলে নেসার আহমেদ নান্নু, মুহাম্মদ কামারুজ্জামানের ছেলে হাসান ইমাম ওয়াফি, আলী আহসান মুজাহিদের ছেলে আলী আহমেদ মাবরুর, আব্দুল কাদের মোল্লার ছেলে হাসান জামিল, মীর কাসেম আলীর ছেলে ব্যারিস্টার মীর আহমেদ বিন কাসেম আরমান, পাবনা জেলা জামায়াতের সাবেক আমির ও কেন্দ্রীয় মজলিসে শুরা সদস্য মাওলানা আব্দুর রহমি, জেলা জামায়াতের নায়েবে আমির অধ্যক্ষ ইকবাল হোসেন, সেক্রেটারি মাওলানা আব্দুর গাফফার খান, কেন্দ্রীয় শূরার সদস্য আব্দুল বাসেত খান, ছাত্রশিবিরের কেন্দ্রীয় প্রচার সম্পাদক আজিজুর রহমান আজাদ প্রমুখ।

এর আগে, বেলা ১১টার দিকে পাবনা সদর গোরস্থানে শায়িত জামায়াতে ইসলামীর সাবেক প্রয়াত নায়েবে আমির মাওলানা আব্দুস সোবহানের কবর জিয়ারত করেন অনুষ্ঠানে আগত অতিথিরা। এ সময় প্রয়াত জামায়াত নেতাদের সন্তাসহ পাবনার নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন। এরপর দুপুরে সাঁথিয়ার মনমথপুরে পারিবারিক কবরস্থানে শায়িত প্রয়াত শহীদ মাওলানা মতিউর রহমান নিজামীর কবর যিয়ারত করেন আগত অতিথিবৃন্দ।

রাকিব হাসনাত/এএমকে