বাগেরহাটের মোংলায় করোনা সংক্রমণের হার দ্রুত বেড়ে চলছে। সংক্রমণ রোধে এবার মোংলা পৌরসভার পর পুরো উপজেলাজুড়েই বিধিনিষেধ আরোপ করা হয়েছে। বিধিনিষেধ বাস্তবায়ন করতে মাঠে নেমেছে কোস্টগার্ড। পাশাপাশি পুলিশ, আনসার ও স্বেচ্ছাসেবকরাও কাজ করছেন।

এর আগে করোনা সংক্রমণ বাড়তে থাকায় গত ৩০ মে থেকে মোংলা উপজেলার মোংলা পোর্ট পৌরসভাজুড়ে বিশেষ বিধিনিষেধ ঘোষণা করে উপজেলা প্রশাসন। প্রাথমিকভাবে ৮ দিনের জন্য ৭ দফা নির্দেশনা দিয়ে জারি করা ওই বিধিনিষেধ রোববার শেষ হওয়ার কথা রয়েছে।

মোংলা উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা জীবিতেশ বিশ্বাস বলেন, শনিবার নতুন করে মোংলা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে র‍্যাপিড অ্যান্টিজেন টেস্টের ৪৮ জনের মধ্যে ৩৪ জনের করোনা শনাক্ত হয়েছে। এই হিসাবে, সংক্রমণ হার শতকরা ৭১ ভাগ।

মোংলা নাগরিক সমাজের আহ্বায়ক নূর আলম শেখ বলেন, বন্দর ও ইপিজেডে মোংলা ছাড়াও আশপাশের বহু এলাকার মানুষ কাজ করেন। ব্যবসা-বাণিজ্যসহ বিভিন্ন কারণে যাতায়াত করতে হয়। বন্দরে আসা বিদেশি জাহাজ, অভ্যন্তরীণ নৌযান ও ইপিজেডের প্রতি বিশেষ নজর দেওয়া প্রয়োজন বলে জানান তিনি।

মোংলা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) কমলেশ মজুমদার ঢাকা পোস্টকে বলেন, মোংলা পৌরসভা এলাকায় সংক্রমণের হার বেশি। তাই সংক্রমণ রোধে পৌরসভা ছাড়াও উপজেলার ৬টি ইউনিয়নকেও শনিবার (৫ জুন) থেকে বিধিনিষেধের আওতায় আনা হয়েছে।

কোস্টগার্ড পশ্চিম জোনের (মোংলা) অপারেশন কর্মকর্তা লেফটেন্যান্ট কমান্ডার ইমতিয়াজ আলম ঢাকা পোস্টকে বলেন, ৩০ মে উপজেলা প্রশাসনের বিধিনিষেধ জারির পর থেকে আমরা মোংলা বন্দরের পশুর চ্যানেলে টহল জোরদার করেছি। শনিবার থেকে উপজেলা প্রশাসনের সঙ্গে সমন্বয় করে আমরা টহল কার্যক্রম শুরু করেছি।

জেলা স্বাস্থ্য বিভাগের তথ্য অনুযায়ী, গেল সপ্তাহে মোংলা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ১৮৪ জনের নমুনা পরীক্ষায় ১১৫ জনের করোনা শনাক্ত হয়।

তানজীম আহমেদ/এনএ