রাজশাহী মেডিকেল কলেজ (রামেক) হাসপাতালে কমছে করোনা ও উপসর্গ নিয়ে মৃত্যু। শনিবার (৫ জুন) সকাল ৮টা থেকে রোববার (৬ জুন) সকাল ৮টার মধ্যে মারা গেছেন আরও ৬ জন। এদের মধ্যে দুজনের মৃত্যু হয়েছে করোনায় এবং চারজনের সংক্রমণের উপসর্গ নিয়ে।

এর আগে শুক্রবার (৪ জুন) সকাল ১০টা থেকে শনিবার সকাল ১০টা পর্যন্ত হাসপাতালে ৮ জন মারা যান। বৃহস্পতিবার (৩ জুন) সকাল ১০টা পর্যন্ত আগের ২৪ ঘণ্টায় মারা যান ১৬ জন। রামেক হাসপাতালে করোনায় মৃত্যুর সর্বোচ্চ রেকর্ড এটি।

রামেক হাসপাতালের উপপরিচালক ডা. সাইফুল ফেরদৌস জানান, গত ২৪ ঘণ্টায় রামেক হাসপাতালের করোনা ওয়ার্ডে ৬ জন মারা গেছেন। দুজনের মৃত্যু হয়েছে প্রাণঘাতি করোনা সংক্রমণে। বাকি চারজনের মৃত্যু হয়েছে সংক্রমণের উপসর্গ নিয়ে। 

মারা যাওয়া ছয়জনের তিনজনই করোনার হটস্পট চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলার বিভিন্ন এলাকার বাসিন্দা। অন্যদের মধ্যে রাজশাহীর একজন, নাটোরের একজন এবং চুয়াডাঙ্গার একজন।

গত ২৪ ঘণ্টায় হাসপাতালের নীবিড় পরিচর্যাকেন্দ্র (আইসিইউ) ও ১৬ নম্বর ওয়ার্ডে মারা গেছেন দুজন করে। এ ছাড়া ২৯ নম্বর ও ৩ নম্বর ওয়ার্ডে একজন করে মারা গেছেন। স্বাস্থ্যবিধি মেনে মরদেহ দাফনের পরামর্শ দেওয়া হয়েছে।

এদিকে রামেক হাসপাতালে আগের দিনের তুলনায় মৃত্যু কমলেও রোগী ভর্তি বেড়েছে। নির্ধারিত ২৩২ শয্যার এই ইউনিটে রোববার সকাল ৮টা পর্যন্ত ভর্তি হয়েছেন ২৩৫ জন। গত ২৪ ঘণ্টায় রামেক হাসপাতালে এসেছেন ৩০ জন। এর মধ্যে ১৮ জন রাজশাহীর, ৮ জন চাঁপাইনবাবগঞ্জের, তিনজন নওগাঁর এবং একজন নাটোরের। 

এর আগের দিন শনিবার সকাল ১০টা পর্যন্ত রোগী ভর্তি ছিলেন ২২৪ জন। ওই দিন নতুন রোগী ভর্তি হন ১৬ জন। যাদের অবস্থা বেশি খারাপ তাদের ভর্তিতে অগ্রাধিকার দেওয়ার কথা জানিয়েছেন উপপরিচালক ডা. সাইফুল ইসলাম।

গত ২৪ মে ১০ জন, ২৫ মে ৪ জন, ২৬ মে ৪ জন, ২৭ মে ৪ জন, ২৮ মে ৯ জন, ৩০ মে সর্বোচ্চ ১২ জন, ৩১ মে ৪ জন, ১ জুন ৭ জন, ২ জুন ৭ জন, ৩ জুন ৯ জন, ৪ জুন ১৬ জন এবং ৫ জুন ৮ জন রামেক হাসপাতালে মারা গেছেন।

ফেরদৌস সিদ্দিকী/এসপি