দীঘিনালার ইউএনও অমিত কুমার সাহা কোথায় বলতে পারছে না কেউ
খাগড়াছড়ির দীঘিনালা উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) অমিত কুমার সাহা কয়েকদিন ধরে কর্মস্থলে অনুপস্থিত রয়েছেন বলে জানিয়েছেন স্থানীয় প্রশাসনের কর্মকর্তারা। গত ২২ মে (বৃহস্পতিবার) তিনি খাগড়াছড়ি জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে একটি মিটিংয়ে অংশ নেন। এরপর থেকে তার সঙ্গে আর যোগাযোগ করা যাচ্ছে না।
দীঘিনালা উপজেলায় কর্মরত উপ-প্রশাসনিক কর্মকর্তা প্রতাপ চাকমা জানান, ইউএনও অমিত কুমার সাহা ওইদিন মিটিং শেষে ছুটিতে যান। যাওয়ার সময় জানান তিনি পরিবার নিয়ে কর্মস্থলে আসবেন। তবে আজ রোববার বিকেল পর্যন্ত তিনি আসেননি।
বিজ্ঞাপন
মাটিরাঙ্গা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মনজুর আলম বলেন, বর্তমানে দীঘিনালা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা অমিত কুমার সাহা ছুটিতে থাকায় আমি সেখানকার ভারপ্রাপ্ত ইউএনও হিসেবে দায়িত্ব পালন করছি। তিনি কতদিনের ছুটিতে রয়েছেন সেই বিষয়ে আমি অবগত নই।
খাগড়াছড়ির জেলা প্রশাসক এবিএম ইফতেখারুল ইসলাম জানান, ইউএনও অমিত কুমার সাহা একটি পরীক্ষা দেওয়ার জন্য ছুটিতে রয়েছেন। তবে ছুটির মেয়াদ সম্পর্কে নির্দিষ্টভাবে কিছু জানাননি তিনি।
তিনি আরও বলেন, ইউএনও অমিত সাহার বিরুদ্ধে ২০২৪ সালের ছাত্র-জনতার আন্দোলনের সময় অতিরিক্ত বলপ্রয়োগের অভিযোগ রয়েছে, যা বর্তমানে তদন্তাধীন।
বিজ্ঞাপন
অমিত কুমার সাহা চলতি বছরের ১৭ মে দীঘিনালা উপজেলায় ইউএনও হিসেবে যোগদান করেন। অভিযোগ রয়েছে, গত বছরের জুলাই অভ্যুত্থানের সময় ঢাকার রামপুরা টিভি ভবন এলাকায় ম্যাজিস্ট্রেট হিসেবে দায়িত্ব পালনকালে তার নির্দেশে আন্দোলনকারীদের ওপর গুলি ছোড়া হয়েছিল।
সম্প্রতি এক প্রতিবেদনে তাকে আওয়ামী লীগের ঘনিষ্ঠ হিসেবে চিহ্নিত করে একটি তালিকা প্রকাশ করা হয়। জেলা প্রশাসক এবিএম ইফতেখারুল ইসলাম জানান, সামনে জুন মাসে দীঘিনালায় ইউএনও’র প্রয়োজন রয়েছে। বিষয়টি ইতোমধ্যে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে অবহিত করা হয়েছে।
এ বিষয়ে প্রতিক্রিয়া জানতে চাইলে খাগড়াছড়ি জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক এমএন আবছার বলেন, ছাত্রজনতার আন্দোলনে যার নির্দেশে গুলি চালিয়ে নিরপরাধ মানুষকে হত্যা করা হয়েছে তিনি কীভাবে এখনো প্রশাসনে দায়িত্ব পালন করছেন সেটেই তো বিস্ময়ের। অবিলম্বে তাকে গ্রেপ্তার করে বিচারের মুখোমুখি করা উচিত।
এ ব্যাপারে কথা বলতে দীঘিনালা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) অমিত কুমার সাহার সরকারি নম্বরে একাধিকবার কল দেওয়া হলেও তিনি রিসিভ করেননি।
মোহাম্মদ শাহজাহান/এমএএস