বরিশালে জাতীয় পার্টির মিছিলে হামলা, একজনকে ধরে পুলিশে সোপর্দ
বরিশালে জাতীয় পার্টির (জাপা) বিক্ষোভ মিছিলে হামলার ঘটনা ঘটেছে। এতে জাপা বরিশাল মহানগরের আহ্বায়ক ও জাপা চেয়ারম্যানের উপদেষ্টা অধ্যাপক মহসিন উল ইসলাম হাবুলসহ বেশ কয়েকজন নেতাকর্মী আহত হয়েছেন। এ সময় হামলাকারীদের একজনকে মারধর করে পুলিশে দিয়েছে জাপার নেতাকর্মীরা।
শনিবার (৩১ মে) বিকেলে নগরের ফকিরবাড়ি রোড ও সদর রোডের সংযোগস্থলে এ হামলার ঘটনা ঘটে।
বিজ্ঞাপন
স্থানীয় বাসিন্দারা জানান, জাতীয় পার্টির বরিশাল জেলা ও মহানগরের নেতাকর্মীরা একটি মিছিল নিয়ে সদর রোডে ওঠার সময় পেছন থেকে ১০-১৫ জন লাঠিসোঁটা নিয়ে হামলা চালান। হামলায় জাপার বেশ কয়েকজন নেতাকর্মী আহত হলে অন্য নেতাকর্মীরা প্রতিরোধ গড়ে পাল্টা হামলা চালান। এ সময় জাপার নেতাকর্মীরা ধাওয়া দিলে হামলাকারীরা পালিয়ে যান। তবে ওইসময় হামলাকারীদের একজন ফকিরবাড়ি রোডের একটি মার্কেটের ভেতরে আটকা পরলে তাকে জাপার নেতাকর্মীরা গণধোলাই দিয়ে পুলিশের হাতে তুলে দেন।
জাপা চেয়ারম্যানের উপদেষ্টা অধ্যাপক মহসিন উল ইসলাম হাবুল বলেন, জাপার বর্তমান চেয়ারম্যান জিএম কাদের গত বৃহস্পতিবার রংপুরে একটি পারিবারিক অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণ করেন। সেখানে টোকাই ও সন্ত্রাসী বাহিনী রাতের অন্ধকারে চেয়ারম্যান সাহেবের বাসভবনে হামলা ও ভাঙচুর করে এবং কয়েকটি মোটরসাইকেলে আগুন ধরিয়ে দেয়। খবর পেয়ে জাপার নেতাকর্মীরা সেখানে উপস্থিত হলে হামলাকারীরা পালিয়ে যায়। এরপরই কিছু সন্ত্রাসীকে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী আটক করে।
বিজ্ঞাপন
তিনি বলেন, আমরা রংপুরের ওই ঘটনার প্রতিবাদে সারা দেশে আজ কেন্দ্রীয়ভাবে বিক্ষোভ সমাবেশ ও মিছিল কর্মসূচি ঘোষণা করা হয়। তার ধারবাহিকতায় বিকেলে আমরা বরিশালে কর্মসূচি পালন শুরু করি। সমাবেশ শেষে বিক্ষোভ মিছিল নিয়ে নগরীর ফকিরবাড়ি কার্যালয় থেকে সদর রোডের কাছাকাছি পৌঁছালে পেছন থেকে কিছু টোকাই মার্কা সন্ত্রাসী বিনা উসকানিতে অহেতুক আমাদের ওপর লাঠিসোঁটা এবং দেশীয় অস্ত্র নিয়ে হামলা চালায়। তাৎক্ষণিক আমাদের নেতাকর্মীরা তা প্রতিহত করেন এবং ধাওয়া দিয়ে হামলাকারীদের একজনকে ধরে পুলিশে সোপর্দ করেন আমাদের নেতাকর্মীরা। সে কে এবং কোন দলের সেটি যেমন খতিয়ে দেখতে হবে তেমনি কার উসকানিতে এ হামলা তাও জানতে হবে।
হাবুল বলেন, জাপা বরিশাল জেলা ও মহানগর দীর্ঘ ১৬ বছর শেখ হাসিনার ফ্যাসিবাদের বিরুদ্ধে কথা বলেছে, জাপা ফ্যাসিবাদের ওপর রুখে দাঁড়িয়েছে, সেখানে আমাদের ওপর হামলার কারণ জানতেই হবে। সেইসঙ্গে প্রশাসনের কাছে দাবি, মব জাস্টিসের নামে দেশে যা চলছে সেটা বন্ধ করা না হলে অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের কার্যক্রম বাধাগ্রস্ত হবে।
বরিশাল মেট্রোপলিটন পুলিশের কোতোয়ালি মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. মিজানুর রহমান বলেন, হামলার ঘটনায় কাউকে আটক করা হয়নি। তবে তারা একজনকে মারধর করে আহত করে পুলিশ সদস্যদের কাছে দিয়েছে। সে বরিশাল শের-ই-বাংলা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসা নিচ্ছে।
সৈয়দ মেহেদী হাসান/এএমকে