সংক্রমণ কমলে আরেকটি আদেশ জারি হবে, বেশি হলে পুরো লকডাউন হতে পারে

করোনা সংক্রমণ মোকাবিলায় এবং সীমান্তবর্তী জয়পুরহাট জেলায় জনসাধারণের স্বাস্থ্যসুরক্ষা সুনিশ্চিত করার লক্ষ্যে এবং অধিকতর সতর্কতা অবলম্বনের জন্য জয়পুরহাট সদর পৌরসভা ও পাঁচবিবি পৌরসভা এলাকায় নতুন বিধিনিষেধ জারি করেছে জেলা প্রশাসন।

সোমবার (৭ জুন) দুপুরে জেলা ম্যাজিস্ট্রেট এবং করোনাভাইরাস সংক্রমণ ও প্রতিরোধসহ সার্বিক ব্যবস্থাপনা কমিটির সভাপতি মো. শরিফুল ইসলামের স্বাক্ষরিত এক গণবিজ্ঞপ্তিতে নতুন বিধিনিষেধের তথ্য জানানো হয়।

সোমবার থেকেই এ আদেশ কার্যকর হবে বলে জনস্বার্থে জারি করা হয়। এসব বিধিনিষেধ অমান্যকারীদের বিরুদ্ধে যথাযথ আইনি পদক্ষেপ গ্রহণ করা হবে বলেও গণবিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়।

গণবিজ্ঞপ্তিতে যেসব বিধিনিষেধ আরোপ করা হয়েছে, জয়পুরহাট সদর পৌরসভা ও পাঁচবিবি পৌরসভা এলাকায় প্রতিদিন বিকাল ৫টা থেকে পরদিন সকাল ৬টা পর্যন্ত সব ধরনের ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান, শপিংমল, মার্কেট, কাঁচা বাজার, খুচরা ও পাইকারি বাজার, মুদি দোকান, রেস্টুরেন্ট ও চায়ের দোকান বন্ধ থাকবে। তবে ওষুধ, চিকিৎসাসেবা, মৃতদেহ দাফন/সৎকারকাজে জড়িত প্রতিষ্ঠানের আওতাবহির্ভূত থাকবে।

এই দুই পৌরসভায় বেঁধে দেওয়া সময়ের বাইরে জরুরি প্রয়োজন ছাড়া কোনোভাবেই বাড়ির বাইরে বের হওয়া যাবে না। জরুরি প্রয়োজনে চলাচলের ক্ষেত্রে নিজস্ব পরিচয়পত্র সঙ্গে রাখতে হবে।

বিকেল ৫টা থেকে পরদিন সকাল ৬টা পর্যন্ত সব ধরনের গণপরিবহন চলাচল বন্ধ থাকবে। এই দুই পৌরসভায় সব গরুর হাট ১৪ জুন পর্যন্ত বন্ধ থাকবে। গণপরিবহনে কোনো অবস্থাতেই ধারণক্ষমতার অর্ধেকের বেশি যাত্রী পরিবহন করা যাবে না।

জনসমাবেশ হয়, এ ধরনের সামাজিক (বিবাহোত্তর অনুষ্ঠান, জন্মদিন, পিকনিক পার্টি ইত্যাদি), রাজনৈতিক ও ধর্মীয় আচার অনুষ্ঠান বন্ধ রাখতে হবে। সব পর্যটনস্থল, কমিউনিটি সেন্টার ও বিনোদন কেন্দ্র বন্ধ থাকবে। মাস্ক পরিধান শতভাগ নিশ্চিত করতে হবে। যথাযথভাবে মাস্ক পরিধান ছাড়া চলাচল করলে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

এসব বিধিনিষেধের মধ্যে সরকারের রাজস্ব আদায়ের সঙ্গে সম্পৃক্ত সব দফতর-সংস্থা এ আদেশের আওতাবহির্ভূত থাকবে। সেই সঙ্গে সব ধরনের সরবরাহ ব্যবস্থাপনা সচল এবং কৃষিপণ্য বা খাদ্যসামগ্রী পরিবহন ও দূরপাল্লার আন্তজেলা পরিবহনসেবা এ আদেশের আওতাবহির্ভূত থাকবে বলেও গণবিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়।

জয়পুরহাট জেলা ম্যাজিস্ট্রেট এবং করোনাভাইরাস সংক্রমণ ও প্রতিরোধসহ সার্বিক ব্যবস্থাপনা কমিটির সভাপতি মো. শরিফুল ইসলাম ঢাকা পোস্টকে বলেন, পরবর্তী নির্দেশনা না দেওয়া পর্যন্ত এ আদেশ বলবৎ থাকবে। পরবর্তীতে করোনা সংক্রমণ কমে এলে আরেকটি আদেশ জারি করা হবে। যদি করোনা সংক্রমণ বেশি হয় তাহলে বিধিনিষেধ আরও কঠোর অথবা পুরো লকডাউন হতে পারে। এটা পরিস্থিতির ওপর নির্ভর করবে।

চম্পক কুমার/এনএ