সিলেটে ঈদুল আজহার প্রধান জামাত অনুষ্ঠিত
সিলেটের ঐতিহ্যবাহী শাহী ঈদগাহ ময়দানে পবিত্র ঈদুল আজহার প্রধান জামাত অনুষ্ঠিত হয়েছে। শনিবার (৭ জুন) সকাল ৮টায় ধর্মপ্রাণ হাজারো মুসল্লির অংশগ্রহণে এই জামাত অনুষ্ঠিত হয়।
নামাজ শুরুর আগে কোরবানির তাৎপর্য নিয়ে সংক্ষিপ্ত বয়ান পেশ করেন বন্দরবাজার কেন্দ্রীয় জামে মসজিদের খতিব মাওলানা মুশতাক আহমদ খান। ঈদের নামাজে ইমামতি করেন একই মসজিদের ইমাম মাওলানা মুফতি জুনায়েদ আহমদ।
বিজ্ঞাপন
এ বছর সিলেট জেলায় মোট ২ হাজার ৯৪১টি স্থানে ঈদুল আজহার জামাত অনুষ্ঠিত হয়। এর মধ্যে মহানগর এলাকায় ৩৯০টি ও জেলার বিভিন্ন উপজেলায় ২ হাজার ৫৫১টি জামাত অনুষ্ঠিত হয়েছে। মহানগর এলাকায় ১৪২টি ঈদগাহ ও খোলা স্থানে এবং ২৪৮টি মসজিদে ঈদের জামাত অনুষ্ঠিত হয়। জেলায় ২ হাজার ২৭৪টি মসজিদে এবং ২৭৭টি ঈদগাহে ঈদের জামাত অনুষ্ঠিত হয়।
হজরত শাহজালাল (রহ.) দরগাহ জামে মসজিদে ঈদের একটি জামাত অনুষ্ঠিত হয় সকাল সাড়ে ৭টায়। কুদরত উল্লাহ জামে মসজিদে ঈদের তিনটি জামাত অনুষ্ঠিত হয়। প্রথম জামাত সকাল ৭টায়, দ্বিতীয় জামাত ৮টায় এবং তৃতীয় জামাত সকাল ৯টায়। এসব জামাতে ইমামতি করেন মসজিদের খতিব ও ইমাম শায়খ সাঈদ বিন নুরুজ্জামান আল মাদানী, হাফেজ মাওলানা মিফতাহ উদ্দিন আহমদ এবং হাফেজ মাওলানা হোসাইন আহমদ।
বিজ্ঞাপন
এছাড়াও সিলেট সরকারি আলিয়া মাদরাসা মাঠে আনজুমানে খেদমতে কুরআন সিলেটের উদ্যোগে সকাল সাড়ে ৭টায় ঈদের একটি জামাত অনুষ্ঠিত হয়।
পবিত্র ঈদুল আজহায় নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে প্রশাসনের পক্ষ থেকে নেওয়া হয় বিশেষ ব্যবস্থা। বিষয়টি ঢাকা পোস্টকে নিশ্চিত করে সিলেট মেট্রোপলিটন পুলিশের অতিরিক্ত উপ-পুলিশ কমিশনার (মিডিয়া) মোহাম্মদ সাইফুল ইসলাম বলেন, প্রতি বছরের মতো এবারও সিলেট নগরীতে ঈদের জামাতগুলো ঘিরে আমরা চার স্তরের নিরাপত্তা ব্যবস্থা নিয়েছি। ঈদগাহ ও আশপাশ এলাকায় মোতায়েন করা হয় পর্যাপ্ত সংখ্যক পুলিশ সদস্য। সিসিটিভি, ড্রোন, রুফটপ নজরদারি ও তল্লাশি চৌকি বসানো হয়।
এদিকে সকালে সিলেটের আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় প্রায় প্রতিটি ঈদগাহ ও খোলা জায়গার জামাতে মুসল্লিদের অংশগ্রহণ ছিল নজরকাড়া। জামাত শেষে মুসল্লিরা একে অপরের সঙ্গে কোলাকুলি করেন এবং দেশ-জাতির কল্যাণ কামনা করেন।
মাসুদ আহমদ রনি/আরএআর