নোয়াখালীতে কোরবানির মাংস কাটার সময় এক ব্যক্তির মৃত্যু, আহত ৮০
নোয়াখালীর সুবর্ণচরে ঈদুল আযহার প্রথম দিনে পশু কোরবানি ও মাংস কাটতে গিয়ে তাজুল ইসলাম তাজু মেস্ত্রি (৫০) নামে একজনের মৃত্যু হয়েছে। শনিবার (৭ জুন ঈদের দিনে) সকাল সাড়ে দশটার দিকে কোরবানির পশু কাটার সময় তিনি মারা যান।
তাজুল ইসলাম তাজু মেস্ত্রি সুবর্ণচরের চর ওয়াপদা ইউনিয়নের ৫নং ওয়ার্ডের বাসিন্দা ও রাজ কাদেরের বাজার সমাজ কমিটির সাধারণ সম্পাদক।
বিজ্ঞাপন
জানা যায়, তাজুল ইসলাম তাজু মেস্ত্রি কোরবানির পশু জবাইয়ের পর মাংস কাটার সময় সকাল সাড়ে দশটার দিকে তিনি হঠাৎ বুকে ব্যথা অনুভব করেন এবং মুহূর্তেই অচেতন হয়ে পড়েন। পরিবারের সদস্যরা তাকে তাৎক্ষণিকভাবে সুবর্ণচর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। এছাড়াও বিভিন্ন এলাকায় অন্তত ৮০ জন আহত হয়েছেন। তবে পশু কাটার অস্ত্রের আঘাতে তারা জখম হলেও কেউ গুরুতর আহত হয়নি। শনিবার (৭ জুন) সকাল থেকে বিকেল ৪টা পর্যন্ত বিভিন্ন সময়ে নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালে তারা চিকিৎসা নিয়েছেন।
নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালের জরুরি বিভাগ সূত্রে জানা যায়, ঈদের নামাজের পর পশু কোরবানি শুরু হলে ধারালো অস্ত্রের আঘাতে অন্তত ৮০ জন আহত হয়ে হাসপাতালে চিকিৎসা নিতে এসেছেন। এদের মধ্যে কারও শরীরেই গুরুতর জখম নেই। তবে কয়েকজনের কাটা স্থানে দুই থেকে তিনটি সেলাই দিতে হয়েছে। চিকিৎসা শেষে আহতরা সবাই বাড়ি চলে গেছেন। আবার কয়েকজন ভর্তি আছেন।
বিজ্ঞাপন
তাজুল ইসলাম তাজু মেস্ত্রির ছেলে মো. সম্রাট ঢাকা পোস্টকে বলেন, বাবা প্রতিবারের মতো এবারও পরিবারের অন্য সদস্যদের নিয়ে কোরবানির কাজ করছিলেন। হঠাৎ বুকে ব্যথা শুরু হয়, কিছু বুঝে ওঠার আগেই তিনি পড়ে যান। তারপর হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালের জরুরি বিভাগে কর্মরত চিকিৎসকগণ ঢাকা পোস্টকে বলেন, কোরবানির পশু কাটতে গিয়ে যারা আহত হয়ে হাসপাতালে এসেছেন, তারা সবাই মৌসুমি কসাই। পশু কাটাকাটিতে তারা অভ্যস্ত না। এ কারণেই নিজেরা কাটতে গিয়ে আহত হয়েছেন।
নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালের আবাসিক চিকিৎসা কর্মকর্তা (আরএমও) রাজিব আহমেদ ঢাকা পোস্টকে বলেন, প্রতিবছর ঈদুল আজহার দিন পশু জবাই করার সময় অসাবধানবশত ধারালো অস্ত্রের আঘাতে বহু লোকজনের আহত হওয়ার ঘটনা ঘটে। সকাল থেকে বিকেল ৫টা পর্যন্ত নোয়াখালীর বিভিন্ন এলাকা থেকে কোরবানি দিতে গিয়ে ধারালো অস্ত্রের আঘাতে আহত হয়ে ৮০ জন হাসপাতালে এসেছেন। এদের মধ্যে সাতজনকে ভর্তি দেওয়া হয়েছে।
হাসিব আল আমিন/এমএএস