নোয়াখালী সদর উপজেলার একটি বসতঘর থেকে রাবেয়া বসরী (২৩) ও তার মেয়ে জান্নাতুল ইসলামের (৪) ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। এ ঘটনায় রাবেয়া বসরীর স্বামী আবদুর রহমান রুবেলকে (৩৮) আটক করেছে পুলিশ। 

বৃহস্পতিবার (১২ জুন) বিকেল সাড়ে ৫টার দিকে কাদিরহানিফ ইউনিয়নের আইয়ুবপুর গ্রাম থেকে মরদেহ দুটি উদ্ধার করা হয়। পরে মরদেহ দুটি সুধারাম থানায় নেওয়া হয়।

স্থানীয় বাসিন্দা বিবি রহিমা ঢাকা পোস্টকে বলেন, চিৎকার শুনে আমি ঘটনাস্থলে গিয়েছি। মরদেহ নামাতে পুলিশকে সহযোগিতা করেছি। রাবেয়া বসরীর স্বামী আবদুর রহমান রুবেল পেশায় কসাই। রাবেয়া তার দ্বিতীয় স্ত্রী। আবদুর রহমান আগের স্ত্রীকে তালাক দিয়ে রাবেয়াকে বিয়ে করেন।  

কাদিরহানিফ ইউনিয়ন পরিষদের ৯ নম্বর ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য আবদুর রহিম বলেন, নিহত রাবেয়ার স্বামী আবদুর রহমান দুপুরে তার ছোট বোনের বাড়িতে দাওয়াতে যান। বিকেল সাড়ে ৪টার দিকে বাড়ি ফিরে এসে ঘরের ভেতর স্ত্রী ও মেয়ের ঝুলন্ত মরদেহ দেখতে পায়। তার চিৎকারে প্রতিবেশীরা ছুটে এসে ঘটনাস্থলে জড়ো হন। 

সুধারাম থানার এসআই লন্ডন চৌধুরী ঢাকা পোস্টকে বলেন, মা ও মেয়ের ঝুলন্ত মরদেহ পৃথক দুটি রশিতে পাওয়া গেছে। স্বামী আবদুর রহমান দাবি করেছেন, তিনি দুপুরে ছোট বোনের বাড়ি গিয়ে বিকেলে ফিরে এসে কাপড়চোপড় এলোমেলো দেখতে পান এবং মরদেহ দুটি ঝুলতে দেখে চিৎকার করেন।

এসআই লন্ডন চৌধুরী বলেন, মরদেহ দুটি ময়নাতদন্তের জন্য নোয়াখালী ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়েছে। নিহতের মরদেহ বর্তমানে হাসপাতালের মর্গে রয়েছে। ময়নাতদন্তের প্রতিবেদন ছাড়া মৃত্যুর প্রকৃত কারণ বলা যাচ্ছে না। ঘটনার বিষয়ে স্বামীকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য থানায় নেওয়া হয়েছে। অভিযোগ পেলে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

সুধারাম থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ কামরুল ইসলাম বিষয়টি নিশ্চিত করে ঢাকা পোস্টকে বলেন, প্রাথমিক অনুসন্ধানে ধারণা করা হচ্ছে, পারিবারিক কলহ থেকেই এ মর্মান্তিক ঘটনা ঘটেছে। বিষয়টি গুরুত্ব সহকারে তদন্ত করছে পুলিশ, পাশাপাশি আইনি প্রক্রিয়াও চলমান রয়েছে।

হাসিব আল আমিন/আরএআর