সিরাজগঞ্জে ৩ দিন ধরে বৃষ্টি, বিপাকে সাধারণ মানুষ
সিরাজগঞ্জে টানা তিন দিন ধরে থেমে থেমে বৃষ্টি অব্যাহত থাকায় বিপাকে পড়েছেন সাধারণ মানুষ।
শুক্রবার (২০ জুন) সকাল থেকেই জেলা শহরের বিভিন্ন এলাকায় থেমে থেমে হালকা থেকে তীব্র বৃষ্টি অব্যাহত রয়েছে। ফলে দোকানপাট বন্ধ ও যানবাহনের সংখ্যা ছিল খুবই সীমিত। বাইরে বের হওয়া মানুষজনও ছিলেন রীতিমতো ভোগান্তিতে।
বিজ্ঞাপন
প্রাত্যহিক কাজে বের হওয়া মানুষদের মধ্যে অধিকাংশই ছিলেন রিকশাচালক, ইজিবাইকচালক, দিনমজুর ও খেটে খাওয়া শ্রমজীবীরা। তারা জানান, পেটের দায়ে বৃষ্টির মধ্যেই রাস্তায় বের হতে হচ্ছে, কিন্তু যাত্রী নেই, কাজও মিলছে না।
রিকশাচালক ওবায়েদ মিয়া বলেন বলেন, বৃষ্টি তো থামেই না। ভাড়া নেই, চলাও যাচ্ছে না। ঘরে খাবার নেই, কী করব বুঝি না।
বিজ্ঞাপন
শহরের অধিকাংশ এলাকায় দোকানপাট খোলেনি। যেসব দোকানপাট খোলা ছিল, সেগুলোতেও ক্রেতার দেখা মেলেনি। শুক্রবারে ছুটির দিন হওয়ায় অফিস-আদালত বন্ধ ছিল। রাস্তায় যারা চলাচল করেছেন, তাদের মুখে ছিল বিরক্তি আর ক্লান্তির ছাপ। জেলা শহরের মতো গ্রামাঞ্চলেও একই অবস্থা।
বিশেষ করে দিন এনে দিন খাওয়া মানুষেরা পড়েছেন সবচেয়ে বেশি কষ্টে। কাজ না থাকায় আয় বন্ধ, অথচ সংসারের খরচ থেমে নেই। দিনমজুর আলতাফ মিয়া, রহিম খান ও মমিন শেখ বলেন, এমন পরিস্থিতি আর এক-দুই দিন চললে খাবার জোটানোই কঠিন হয়ে যাবে। আমরা দিন আনি, দিন খেয়ে বাঁচি৷ বৃষ্টি না হইয়া রোদ হলেই ভালো হয়।
টানা বৃষ্টির কারণে অনেক পরিবারই ঘরবন্দি হয়ে পড়েছে। গ্রামাঞ্চলের এলাকাগুলোতে যে সব কাঁচা রাস্তা রয়েছে। বৃষ্টির কারণে সেসব রাস্তায় পানি জমে গেছে। এর ফলে চলাচলে বিপাকে পড়েছে মানুষ।
ইজিবাইক চালক শরিফুল খান বলেন, বৃষ্টি হলেই রাস্তা নষ্ট হয়ে যায়। মানুষ হেঁটেই চলতে পারে না। জীবিকার তাগিদে গাড়ি নিয়ে বের হয়েছি। যাত্রী খুবই কম।
কথা হয় মিষ্টির দোকানি টুটুল খানের সঙ্গে। তিনি বলেন, বৃষ্টি হওয়ায় মানুষ বের হচ্ছে না। টানা বৃষ্টিতে বেচাঁকেনার খারাপ অবস্থা।
সিরাজগঞ্জের তাড়াশ উপজেলার কৃষি আবহাওয়া পর্যবেক্ষণাগারের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোহাম্মদ জাহেদুল ইসলাম বলেন, গত ২৪ ঘণ্টায় ৪৩ মিলি মিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে। সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল ২৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস এবং সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল ২৫.২ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
আরকে