গাজীপুরে এটিএম বুথে ধর্ষণের শিকার কিশোরীর পাশে বিএনপি
গাজীপুরের শ্রীপুরে এটিএম বুথে ধর্ষণের শিকার কিশোরীর পরিবারের পাশে দাঁড়িয়েছে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল (বিএনপি)। পরিবারটিকে নগদ আর্থিক সহায়তা প্রদান ও চিকিৎসার আশ্বাস দেওয়ার পাশাপাশি আইনগত সহায়তার কথাও জানিয়েছে দলটি।
শুক্রবার (২০ জুন) সকালে বিএনপির নির্বাহী কমিটির সহ-স্বাস্থ্যবিষয়ক সম্পাদক এবং জেলা ভিত্তিক নিপীড়িত নারী ও শিশুদের স্বাস্থ্যসেবা সহায়তা সেলের গাজীপুর জেলার প্রধান সমন্বয়ক অধ্যাপক ডা. এস. এম. রফিকুল ইসলাম বাচ্চু নির্যাতনের শিকার কিশোরীর পরিবারের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন এবং এসব প্রতিশ্রুতি দেন।
বিজ্ঞাপন
পরে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের পক্ষ থেকে কিশোরীর মা-বাবার হাতে আর্থিক সহায়তা তুলে দেওয়া হয়।
আরও পড়ুন
বিজ্ঞাপন
ডা. রফিকুল ইসলাম বাচ্চু জানান, চিকিৎসা ও আইনগত সহায়তা কেন্দ্রীয় বিএনপির নির্দেশনায় গঠিত নিপীড়িত নারী ও শিশুদের স্বাস্থ্যসেবা সহায়তা সেল থেকে দেওয়া হবে।
তিনি বলেন, দেশজুড়ে নারী ও শিশুদের ওপর নিপীড়ন, হেনস্তা ও ধর্ষণের মতো অপরাধ বন্ধে সমাজের সব শ্রেণি-পেশার মানুষকে সোচ্চার হতে হবে। ফ্যাসিবাদী সরকারের শাসনামলে অপরাধীদের বিচার না করে বরং পুরস্কৃত করার কারণে এসব ঘটনার পুনরাবৃত্তি ঘটছে।
মানবিক সহায়তা প্রদানের সময় আরও উপস্থিত ছিলেন-উপজেলা বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক মো. মোসলেহ উদ্দিন মৃধা, উপজেলা বিএনপির আহ্বায়ক কমিটির সদস্য ও উপজেলা কেন্দ্রীয় সমবায় সমিতির (ইউসিসিএ) সভাপতি সাংবাদিক এস. এম. মাহফুল হাসান হান্নান, শ্রীপুর উপজেলা শিল্পাঞ্চল শ্রমিকদলের সভাপতি কাজল ফকির, এবং উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক রাশেদুল ইসলাম নয়ন প্রমুখ।
গত রোববার সকালে শ্রীপুর উপজেলার মুলাইদ এলাকায় তালহা স্পিনিং মিলস লিমিটেডের সামনে অবস্থিত ডাচ-বাংলা ব্যাংকের এটিএম বুথে ১৪ বছর বয়সী এক কিশোরীকে ধর্ষণের ঘটনা ঘটে। অভিযোগ অনুযায়ী, বুথটির নিরাপত্তাকর্মী লিটন মিয়া ভেতরে নিয়ে তাকে ধর্ষণ করে। ওই দিনই কিশোরীর বাবা শ্রীপুর থানায় মামলা দায়ের করেন। পরে সোমবার রাতে পুলিশ অভিযান চালিয়ে লিটন মিয়াকে গ্রেপ্তার করে।
গ্রেপ্তারকৃত লিটন মিয়া (৪০) ময়মনসিংহের গফরগাঁও উপজেলার ডুবাইল গ্রামের আবদুল আউয়ালের ছেলে। তিনি শ্রীপুর উপজেলার মুলাইদ এলাকায় আতাব উদ্দিন মুছার বাড়িতে ভাড়া থাকতেন এবং ডাচ-বাংলা ব্যাংকের এটিএম বুথে নিরাপত্তার দায়িত্বে ছিলেন।
শিহাব খান/এমএসএ