খুলনায় অস্বাভাবিক হারে বাড়ছে করোনাভাইরাসের সংক্রমণ। প্রতিদিনই বাড়ছে অদৃশ্য এই ভাইরাসে শনাক্ত ও আক্রান্ত হয়ে মৃতের সংখ্যা। মঙ্গলবার (০৮ জুন) সকাল ৭টা থেকে সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত খুলনা  হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ৬ জনের মৃত্যু হয়েছে।

মৃতরা হলেন আব্দুল হাই শিকদার (৮০), কাজী সাইদুর রহমান (৭৪), আয়জান বেগম (৭৫), তুষার কান্তি (৫৮), আব্দুল মালেক (৭৫) ও সেলিম জমাদার (৬৫)। এ নিয়ে খুলনা করোনা হাসপাতালে ২৯৪ জনের মৃত্যু হয়।

খুলনা মেডিকেল কলেজের উপাধ্যক্ষ ডা. মেহেদী নেওয়াজ বলেন, মঙ্গলবার রাতে পিসিআর মেশিনে ২৭৯ নমুনায় ৮১ জনের পজিটিভ এসেছে। যার মধ্যে খুলনার ১৯৩ নমুনায় ৩৯ জন শনাক্ত হয়েছেন। এছাড়া বাগেরহাটের ২৬ জন, যশোরের ২ জন, পিরোজপুরের ২ জন, গোপালগঞ্জের একজন ও ঝিনাইদহের একজন করোনা পজিটিভ হয়েছেন।

খুলনা করোনা হাসপাতাল সূত্রে জানা যায়, বিকেল ৫টা ৫৫ মিনিটে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় বাগেরহাটের শরণখোলার বানিয়াখালী এলাকার আব্দুল হাই শিকদার (৮০) মৃত্যুবরণ করেন। তিনি সোমবার (০৭ জুন) করোনায় আক্রান্ত অবস্থায় হাসপাতালে ভর্তি হন। একইসময়ে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় যশোর সদরের কাজী সাইদুর রহমান (৭৪) মারা যান। তিনি গতকাল (৭ জুন) হাসপাতালে ভর্তি হন।

এর আগে দুপুর পৌনে ৩টায় হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মাারা যান বাগেরহাটের মোড়েলগঞ্জের কেয়ারবাজার এলাকার সেলিম জমাদার (৬৫)। তিনি ৫ জুন এই হাসপাতালে ভর্তি হন।

এছাড়া দুপুর পৌনে ১টার দিকে খুলনার ফুলতলা উপজেলার বানিয়া পুকুর এলাকার তুষার কান্তি (৫৮) মারা যান। তিনি ৪ জুন হাসপাতালে ভর্তি হন। চিকিৎসাধীন অবস্থায় দুপুরে তার মৃত্যু হয়।
 
একই সময়ে চিকিৎসাধীন অবস্থায় আয়জান বেগম (৭৫) নামে আরেক রোগীর মৃত্যু হয়। তিনি খুলনার কয়রা উপজেলার ষোলহালিয়া গ্রামের মৃত আব্দুল লতিফের স্ত্রী। ৬ জুন করোনায় আক্রান্ত অবস্থায় হাসপাতালে ভর্তি হয়েছিলেন তিনি। এছাড়া সকাল সোয়া ৭টায় করোনা হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় আব্দুল মালেক (৭৫) নামের এক রোগীর মৃত্যু হয়। ৫ জুন হাসপাতালে ভর্তি হন তিনি।

করোনা ইউনিটের ফোকাল পার্সন ডা. সুহাস রঞ্জন হালদার জানান, মঙ্গলবার পর্যন্ত খুলনা করোনা হাসপাতালে ভর্তি আছে ১২৯ জন রোগী। যার মধ্যে ৬৩ জন আছেন রেড জোনে, ২৮ জন ইয়োলো জোনে। এছাড়া আইসিইউতে ২০ জন এবং এইচডিইউতে ১৯ জন আছেন।

মোহাম্মদ মিলন/এমএসআর/জেএস