দিনাজপুর-৬ আসনের সংসদ সদস্য ও সমাজকল্যাণ মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত স্থায়ী কমিটির সদস্য শিবলী সাদিকের তৎপরতায় পানিবন্দি জীবন থেকে মুক্তি পেলেন ঘোড়াঘাট উপজেলার শালিকাদহ গ্রামের প্রায় ২ শতাধিক পরিবার।

মঙ্গলবার (৮ জুন) দুপুরে পানিবন্দি দুটি গ্রাম পরিদর্শন করে তিনি তাৎক্ষণিকভাবে পানি মুক্ত করতে ৫০ হাজার টাকা প্রদান করেন।

জানা যায়, উপজেলার বুলাকীপুর ইউনিয়নের শালিকাদহ গ্রামের পাশ দিয়ে করতোয়া নদী প্রবাহিত হয়েছে। বর্ষা মৌসুমে এ গ্রামের পানি স্থানীয় দুলা মিয়ার আবাদি জমির ওপর দিয়ে গিয়ে করতোয়া নদীতে পড়ত। গত কয়েকদিন আগে আবাদি জমির মালিক দুলু মিয়া তার জমিতে পুকুর খনন করে। 

পাশাপাশি উঁচু করে পুকুরের পাড় বেঁধে দেয়। ফলে গত এক সপ্তাহের ভারি বৃষ্টিতে শালিকাদহ গ্রামের প্রায় দুই শতাধিক পরিবার পানিবন্দি হয়ে পড়ে। স্থানীয় এক ব্যক্তি পানিবন্দি ওই গ্রামের ছবি তুলে ফেসবুকে শেয়ার করেন। ছবিগুলো সাংসদ শিবলী সাদিকের নজরে এলে তিনি গ্রামটি পরিদর্শন করেন। পরে খননকৃত পুকুরের চারপাশে দেওয়া পাড় সরিয়ে নিতে ওই পুকুরের মালিককে অনুরোধ করেন। সাংসদের অনুরোধে পুকুরের মালিক বাঁধ সরিয়ে নিতে সম্মতি প্রকাশ করেন। বাঁধ সরিয়ে নেওয়ার খরচ বাবদ সাংসদ পুকুরের মালিককে ৫০ হাজার টাকা প্রদান করেন।

শালিকাদহ গ্রামের পানিবন্দি হয়ে থাকা কৃষক মোজাম্মেল হক বলেন, পুকুর খননের কারণে হামার বাড়ির খুলিত (উঠোনে) পানি উঠিছে। অনেক দিন ধরে হামরা গ্রামের মানুষ পানিত হাবুডুবু খাওছি। পুকুরের মালিকক মেলা বার কহিছি হামাহেরে গ্রামের পানি বার হবার ব্যবস্থা করে দিবার। কিন্তু পুকুরআলা কথা শোনে না। আজ হামার এমপি আলছে হামার গ্রামত। পুকুরের মালিকেক টেকা দিল। মালিক এখন পুকুরের পাড় সরাওছে।

দিনাজপুর-৬ আসনের সংসদ সদস্য শিবলী সাদিক বলেন, ব্যক্তি মালিকানাধীন জমিতে পুকুর খনন এবং এর চারপাশে উঁচু করে পুকুরের পাড় নির্মাণ করায় বৃষ্টির পানিতে প্রায় ২ শতাধিক পরিবার পানিবন্দি হয়ে পড়েছিল। ফেসবুকে ছবিটি দেখে আমি ওই গ্রামে গিয়েছিলাম। পুকুরের মালিককে টাকা দিয়েছি। তিনি কথা দিয়েছেন আজকে থেকেই পুকুরের পাড় সরানোর ব্যবস্থা করবেন। আর পুকুরের পাড়টি সরালেই শালিকাদহ গ্রাম থেকে পানি পার্শ্ববর্তী নদীতে গিয়ে পড়বে। ফলে ২ শতাধিক পরিবার পানিবন্দির হাত থেকে রক্ষা পাবে।

শিমুল আহসান/এমএএস