কুমিল্লার মুরাদনগরে ধর্ষণের ঘটনার ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে দেওয়ার অভিযোগে গ্রেপ্তার চার আসামিকে কারাগারে পাঠিয়েছেন আদালত।

রোববার (২৯ জুন) সন্ধ্যায় কুমিল্লার চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেটের ১১ নম্বর আমলি আদালতের বিচারক মুমিনুল হকের আদালতে তোলা হলে তাদের কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন।

তারা হলেন—বাহেরচর এলাকার ছাত্রলীগ নেতা মোহাম্মদ আলী সুমন, একই এলাকার রমজান, মো. আরিফ এবং মো. অনিক।

মুরাদনগর থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) জাহিদুর রহমান ঢাকা পোস্টকে বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, পর্নোগ্রাফি আইনে দায়ের করা মামলায় গ্রেপ্তারকৃতদের আদালতে তোলা হয়। এ সময় আসামিদের রিমান্ড চাওয়া হলে আদালত পরবর্তী শুনানির জন্য দিন ধার্য করে তাদের কারাগারে পাঠান।

প্রসঙ্গত, কুমিল্লার মুরাদনগরে বাবার বাড়িতে বেড়াতে আসা এক নারীকে (২৫) ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে ফজর আলী নামে (৩৮) এক যুবকের বিরুদ্ধে। গত বৃহস্পতিবার দিবাগত রাতে মুরাদনগর উপজেলার রামচন্দ্রপুর দক্ষিণ ইউনিয়নের বাহেরচর পাঁচকিত্তা গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। ঘটনার একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ভাইরাল হলে বিষয়টি টক অব দ্য কান্ট্রিতে পরিণত হয়। শুক্রবার বিকেলে এ ঘটনায় ওই ভুক্তভোগী নারী বাদী হয়ে মুরাদনগর থানায় ধর্ষণ মামলা করেছেন। তার স্বামী দুবাই প্রবাসী। তিনি দুই সন্তানের মা।

এ ঘটনায় অভিযান চালিয়ে ভিডিও ভাইরাল করার দায়ে চারজনকে এবং ঘটনার মূল অভিযুক্ত ফজর আলীকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ।

অপরদিকে এই ঘটনায় ভুক্তভোগী নারী এবং অভিযুক্ত ফজর আলীর সঙ্গে পরকীয়ার সম্পর্ক ছিল বলে দাবি করেছেন স্থানীয় বাসিন্দারা। দুজনের পরকীয়ার বিষয়টি সর্বমহলে আলোচিত বলে ঢাকা পোস্টকে নিশ্চিত করেন স্থানীয় ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান গোলাম কিবরিয়া খোকন।

আরিফ আজগর/এএমকে