পাবনায় বিদ্যুতের লাইনে কাজ করতে গিয়ে বিদ্যুৎস্পৃষ্টে বাচ্চু মিয়া ও শাকিল আহমেদ নামে দুই ইলেকট্রিশিয়ানের মৃত্যু হয়েছে। বৃহস্পতিবার (১০ জুন) বেলা সাড়ে ১১টার দিকে শহরের দিলালপুর ইউনিভার্সাল ফুড লিমিটেডের সামনে ও ঈশ্বরদী ইপিজেডে এ ঘটনা ঘটে। 

নিহত লাইনম্যান বাচ্চু মিয়া সদর উপজেলার গাছপাড়া মহল্লার এসকেন্দার মোল্লার ছেলে। তিনি নর্দান ইলেকট্রিসিটি সাপ্লাই কোম্পানি (নেসকো) লিমিটেডের পাবনা ইউনিটে লাইনম্যান হিসেবে কর্মরত ছিলেন। আর শাকিল ঈশ্বরদীর সাহাপুর ইউনিয়নের চরগরগড়ি গ্রামের মোজাম্মেল হকের ছেলে। 

স্থানীয় বাসিন্দা মিজানুর রহমান খান জানান, শহরের পৌর এলাকার দিলালপুর মহল্লার ইউনিভার্সাল ফুডের অফিসের সামনে বাচ্চু বিদ্যুতের খুঁটিতে কাজ করছিলেন। এ সময় অসাবধানতাবসত তিনি বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে গুরুতর আহত হন। তাকে স্থানীয়রা উদ্ধার করে পাবনা জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন। তিনি সাত বছর ধরে নেসকোতে লাইনম্যানের কাজ করতেন।  

এলাকাবাসীদের অভিযোগ, বিদ্যুৎ প্রবাহ বন্ধ না করে ও কোনো ধরনের নিরাপত্তা ছাড়াই বাচ্চু কাজ করতে গিয়ে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে মারা গেছেন। এ ধরণের ঘটনা এর আগেও শহরের বেশ কয়েকটি স্থানে ঘটেছে। এ জন্য নেসকোর অসহযোগিতা আর দায়িত্বে অবহেলা রয়েছে। 

অপরদিকে ঈশ্বরদী ইপিজেডের সংরক্ষিত রুমে ইলেকট্রিসিটির কাজ করতে গিয়ে শাকিল বিদ্যুৎস্পৃষ্টে গুরুতর আহত হন।  তাকে ঈশ্বরদী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স নেওয়া হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।

ঈশ্বরদী থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আসাদুজ্জামান বলেন, কোনো অভিযোগ না থাকায় মরদেহ পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।

পাবনা সদর থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) নাসিম আহমেদ জানান, খবর পেয়ে মরদেহ উদ্ধার করে হাসপাতালের মর্গে রাখা হয়েছে। এ ঘটনায় নিহতের বাবা থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করেছেন। বিষয়টি তদন্ত করে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে। 

এদিকে নর্দান ইলেকট্রিসিটি সাপ্লাাই কোম্পানির (নেসকো) পাবনার সহকারী প্রকৌশলী রুবেল হাওলাদার বলেন, ছেলেটি আমাদের অফিসের বাহিরের কোনো ঠিকাদারের সঙ্গে কাজ করে থাকতে পারে। এর বেশি বলতে পারব না। 

রাকিব হাসনাত/আরএআর