শেরপুর পৌর এলাকায় করোনাভাইরাস পরিস্থিতি উচ্চ ঝুঁকিপূর্ণ থাকায় শুক্রবার (১১ জুন) থেকে ২৪ জুন পর্যন্ত সকল ধরনের অনুষ্ঠান নিষিদ্ধ করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার রাতে শেরপুর জেলা প্রশাসন এক গণবিজ্ঞপ্তিতে এ ঘোষণা দেন।

গণবিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ১১ জুন সকাল ৬টা থেকে ২৪ জুন রাত ১২টা পর্যন্ত শেরপুর পৌর এলাকায় সব ধরনের রাজনৈতিক, সামাজিক, ধর্মীয় অনুষ্ঠান বন্ধ থাকবে। এ সময় করোনায় আক্রান্ত ব্যক্তির বাড়ি লকডাউনের আওতাভুক্ত থাকবে। আক্রান্ত ব্যক্তি ও পরিবারের সকলকে স্বাস্থ্যবিধি মেনে সার্বক্ষণিক বাড়িতে অবস্থান করতে হবে।

জনসমাগম হয় এ ধরনের সামাজিক, রাজনৈতিক, ধর্মীয়, বিয়ের অনুষ্ঠান, জন্মদিন, পিকনিক ও পর্যটন স্পটসমূহ বন্ধ থাকবে। সকাল ৭টা থেকে বিকেল ৫টা পর্যন্ত স্বাস্থ্যবিধি মেনে দোকানপাট, শপিংমল খোলা রাখা যাবে। তবে স্বাস্থ্যবিধি পালনে ব্যর্থ হলে সংশ্লিষ্ট দোকানপাট ও শপিংমল বন্ধ করে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। ওষুধের দোকানসমূহ স্বাস্থ্যবিধি মেনে ২৪ ঘণ্টা খোলা রাখা যাবে।

জরুরি পরিষেবা, বিদ্যুৎ, গ্যাস, কৃষিপণ্য পরিবহন, পশুখাদ্য এবং জরুরি প্রয়োজন ক্রয়, চিকিৎসাসেবা, মরদেহ দাফন/সৎকার ব্যতীত কেউ সন্ধ্যা ৭টা থেকে পরেরদিন সকাল ৭টা পর্যন্ত বাড়ির বাইরে অবস্থান করতে পারবেন না।
হোটেল, রেস্তোরাঁ, খাবারের দোকানসমূহ শুধু পার্সেল, টেকওয়ে, অনলাইন অর্ডার বা হোম ডেলিভারি সেবা প্রদান করতে পারবে।

বাস, মাইক্রোবাস ইত্যাদি গণপরিবহন নির্ধারিত আসন সংখ্যার অর্ধেক যাত্রী নিয়ে চলাচল করতে পারবে। তবে যাত্রীসহ সংশ্লিষ্ট সকলকে মাস্ক পরিধানসহ স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলতে হবে। 

 সিএনজি, অটোরিকশা, ইঞ্জিনচালিত রিকশা এবং অন্যান্য রিকশাসমূহ স্বাস্থ্যবিধি মেনে শুধু দুইজন যাত্রী বহন করতে পারবে। সিএনজি ও অটোরিক্সাসমূহ কোনোক্রমেই সামনের সিটে যাত্রী বহন করতে পারবে না। এ ছাড়া মন্ত্রিপরিষদ বিভাগসহ সরকার কর্তৃক জারিকৃত অন্যান্য নির্দেশনাসমূহ এ বিধিনিষেধের অন্তর্ভুক্ত বলে গণ্য হবে।

এ ব্যাপারে জেলা প্রশাসক আনার কলি মাহবুব ঢাকা পোস্টকে বলেন, সম্প্রতি কোভিড-১৯ শেরপুরে ভয়াবহ আকার ধারণ করেছে। চলতি মাসে ১০ দিনে আক্রান্তের সংখ্যা ৮০। তাই আমাদের বাধ্য হয়ে কঠোর অবস্থানে যেতে হচ্ছে। জুনের ১১ তারিখ থেকে আগামী ২৪ তারিখ পর্যন্ত সব ধরনের আচার অনুষ্ঠান ও জনসমাগম নিষিদ্ধ করা হয়েছে। উক্ত নির্দেশনা অমান্যকারীদের বিরুদ্ধে কঠোর আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

জাহিদুল খান সৌরভ/এসপি