নেত্রকোনায় জুন মাসের শুরু থেকেই বাড়ছে করোনা সংক্রমণের হার। গত ১০ দিনে জেলার বিভিন্ন উপজেলায় ৪ বছর বয়সী এক শিশুসহ ৫৭ জনের শরীরে করোনা শনাক্ত হয়েছে, যা আগের তুলনায় অনেকটাই বেশি এবং জেলায় এবারই প্রথম ৪ বছর বয়সের কোনো শিশু করোনা আক্রান্ত হয়েছে।

এ ছাড়া জেলায় এ পর্যন্ত ১৬ হাজার ৮৩১ জনের নমুনা পরীক্ষায় ১ হাজার ২২৩ জনের করোনা শনাক্ত হয়েছে। শনাক্তের হার ৭ দশমিক ২৭ শতাংশ। এ পর্যন্ত সুস্থ হয়েছেন ১ হাজার ৬৬ জন। সুস্থতার হার ৮৭ দশমিক ১৬ শতাংশ। জেলায় এ পর্যন্ত করোনায় আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন ২২ জন। মৃত্যুর হার ১ দশমিক ৮০ শতাংশ।

শুক্রবার (১১ জুন) দুপুরে নেত্রকোনার সিভিল সার্জন ডা. মোহাম্মদ সেলিম মিয়া ঢাকা পোস্টকে এসব তথ্য নিশ্চিত করেন।

সিভিল সার্জন জানান, বৃহস্পতিবার (১০ জুন) পর্যন্ত সর্বশেষ ২৪ ঘণ্টায় নেত্রকোনায় ৮৯ জনের নমুনা পরীক্ষায় ৯ জনের শরীরে করোনা শনাক্ত হয়। তাদের মধ্যে ওই শিশুও একজন। শিশুটির বাড়ি জেলার খালিয়াজুরী উপজেলার সদর ইউনিয়নে এবং আক্রান্ত অন্য আটজনের মধ্যে ছয়জন মোহনগঞ্জ, কলমাকান্দা ও কেন্দুয়া উপজেলার বাসিন্দা। আর অন্য দুজন জেলার দুর্গাপুর ও খালিয়াজুরী সদর উপজেলার বাসিন্দা।

আক্রান্ত ব্যক্তিদের মধ্যে ছয়জন মোহনগঞ্জ, কলমাকান্দা, কেন্দুয়া উপজেলার বাসিন্দা। বাকিরা দুর্গাপুর, খালিয়াজুরী ও সদর উপজেলার বাসিন্দা।

সিভিল সার্জন সেলিম মিয়া বলেন, করোনায় আক্রান্ত শিশুটিকে স্বাস্থ্য বিভাগের চিকিৎসকদের তত্ত্বাবধানে বাড়িতে রেখেই চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে। তার শারীরিক অবস্থা ভালো।

তিনি জানান, গত ১০ দিনে জেলায় ৫৭ জন করোনা শনাক্ত হয়েছেন। জুন মাসের শুরু থেকেই বেড়ে চলেছে করোনা শনাক্তের সংখ্যা। এ অবস্থায় নিজেদের যেমন স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলতে হবে। তেমনি শিশুদের প্রতিও বিশেষ খেয়াল রাখতে হবে। বাড়িতে কোনো করোনা রোগী থাকলে তার কাছে যেন কোনো অবস্থাতেই শিশুরা যেতে না পারে তা নিশ্চিত করতে হবে। উচ্চ ঝুঁকিপূর্ণ জনসমাগমস্থল বাজার, দোকানপাটে কেনাকাটার জন্য শিশুদের নেওয়া যাবে না। স্বাস্থ্যবিধি শিশুদেরও মানাতে হবে। হাত ধোয়ার অভ্যাস গড়ে তুলতে হবে।

এদিকে জেলা স্বাস্থ্য বিভাগের তথ্যমতে, জেলায় বর্তমানে ১৫৭ জন করোনায় আক্রান্ত হয়ে চিকিৎসা নিচ্ছেন। আক্রান্তদের মধ্যে দুজন হাসপাতালে চিকিৎসাধীন এবং বাকিরা সবাই বাড়িতে আছেন। আক্রান্তদের সবারই শারীরিক অবস্থা ভালো।

মো. জিয়াউর রহমান/এনএ