হিজলার গোলেরহাট বাজারে দোকানে চুরি

রেজ্জাক বেপারী পঙ্গু। পাঁচ সদস্যের পরিবারের দায়িত্ব তার কাঁধে। একদিন দোকানে না বসলে ঘরের চুলা জ্বলে না। প্রতিদিন চা-সিগারেট বিক্রি করে যে টাকা আয় হয় তা দিয়েই সংসার চলে তার।

অল্প পূঁজিতে চলা রেজ্জাক বেপারীর ছোট চায়ের দোকানে সোমবার (০৪ জানুয়ারি) গভীর রাতে চুরি হয়। ক্যাশ বাক্সে রাখা দেড় হাজার টাকা, এক কার্টন সিগারেট ও সৌর প্যানেলের ব্যাটারি নিয়ে যায় চোরেরা।

সকালে দোকানে গিয়ে চুরির ঘটনা দেখে আকাশ ভেঙে পড়ে রেজ্জাকের মাথায়। কষ্টের রোজগার সব নিয়ে গেছে তার। বরিশালের হিজলা উপজেলার গোলেরহাট বাজারে রেজ্জাক বেপারীর চায়ের দোকান।

রেজ্জাক বেপারী বলেন, থানায় অভিযোগ দিতে গেলে সন্দেহভাজনের নাম জানতে চায় পুলিশ। আমি তো কাউকে দেখিনি। কাকে দোষ দেব। কারও সঙ্গে আমার শত্রুতা নেই। বিনাদোষে কাউকে অপরাধী করতে চাই না। কিন্তু আমি চুরির বিচার চাই। শেষে থানায় অভিযোগ দিইনি। 

স্থানীয় সূত্র জানায়, শুধু রেজ্জাক বেপারী নন; দোকান চুরির ঘটনা ধারাবাহিকভাবে ঘটছে। গত তিন মাসে কমপক্ষে পাঁচ চুরির ঘটনা ঘটেছে গোলেরহাট বাজারে।

রোববার (০২ জানুয়ারি) রাতে জলিল হাওলাদারের মুদি দোকানে চুরি হয়। জলিল বলেন, কমপক্ষে ১০ হাজার টাকার মালামাল নিয়ে গেছে চোরেরা। দোকানের বেড়া কেটে চোর ঢুকেছে। চোরের উৎপাতে আমরা যথারীতি অতিষ্ঠ।

কিছুদিন আগে ডিসেম্বরের শেষ সপ্তাহে টিনের চাল কেটে হাবিব মিয়ার বিকাশের দোকানে চোর ঢুকে ২০ হাজার টাকার মালামাল নিয়ে যায়। চোরের হাত থেকে রেহাই পাননি গোলেরহাট ব্যবসায়ী সমিতির সভাপতি আব্দুল মান্নানও।

তিনি বলেন, নভেম্বরে আমার দোকানে চুরি হয়। বেশ কয়েক লাখ টাকার মালামাল চোরেরা নিয়ে যায়। থানায় অভিযোগ দিতে গেলে সন্দেহভাজনের নাম জানতে চায়। এজন্য অভিযোগ দিইনি। গোলেরহাটে চুরি ঠেকাতে থানা পুলিশের টহল বাড়ানোর দাবি জানাই।

এ বিষয়ে হিজলা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) অসিম কুমার সিকদার বলেন, লিখিত অভিযোগ না দিলে কোনো অভিযোগই গ্রহণ করা হয় না। আমরা শুনেছি বিভিন্ন সময়ে নাকি চুরি হয়েছে। কিন্তু কেউ কোনো অভিযোগ দেয়নি। অভিযোগ দিলে অবশ্যই ব্যবস্থা নেব।

এএম