করোনা প্রতিরোধে মাঠপর্যায়ে নেমেছে জেলা প্রশাসন

ঠাকুরগাঁওয়ে দিন দিন বেড়ে চলছে করোনায় আক্রন্তের সংখ্যা। এক দিনে যেমন বাড়ছে আক্রান্তের সংখ্যা, তেমনি বেড়েছে মৃত্যুর সংখ্যাও। এ জন্য জনগণের মাঝে সচেতনামূলক প্রচরণা ও মাস্ক বিতরণে মাঠপর্যায়ে নেমেছে জেলা প্রশাসন। পথচারীসহ দোকানে দোকানে গিয়ে জনগণকে সচেতন ও বিনামূল্যে মাস্ক বিতরণ করছে প্রশাসন।

রোববার (১৩ জুন) দুপুরে ঠাকুরগাঁও চৌড়াস্ত মোড়ে এমনি একটি চিত্র চোখে পড়ে। জেলা করোনা প্রতিরোধ কমিটির আয়োজনে জেলা প্রশাসক ড. কে এম কামরুজ্জামান সেলিমের নেতৃত্বে এই প্রচারণা করা হয়।

সারেজমিনে দেখা যায়, সড়কে পথচারী, যানবাহনসহ বিভিন্ন দোকানপাটে গিয়ে জনগণকে সচেতনতামূলক দিকনির্দেশনা দিচ্ছে প্রশাসন। শুধু তা-ই নয়, মাস্কবিহীন ব্যক্তিদের পরিয়ে দিচ্ছে মাস্ক। সেই সঙ্গে বিভিন্ন জায়গায় জনসমাগম না করা ও মাস্ক না পরে বাইরে চলাচল না করারও আহ্বান করে প্রশাসন।

জেলা স্বাস্থ্য বিভাগের তথ্যমতে, ঠাকুরগাঁও জেলায় সর্বমোট করোনা সংক্রমিত রোগীর সংখ্যা ১৯৬৪, যাদের মধ্যে ১৫৯৬ জন সুস্থ হয়ে ছাড়পত্র পেয়েছেন এবং মৃত্যু হয়েছে ৫০ জনের।

ঠাকুরগাঁও জেলা প্রশাসক ড. কে এম কামরুজ্জামান সেলিম ঢাকা পোস্টকে বলেন, গত কয়েক দিনের করোনার রিপোর্ট অনুযায়ী ঠাকুরগাঁও জেলা করোনা-ঝুঁকিতে রয়েছে। শুধু জেল-জরিমানা দিয়ে করোনা প্রতিরোধ করা সম্ভব নয়। তাই জনগণের মাঝে এসেছি তাদের বোঝাতে। নিজের স্বার্থে, নিজের পরিবারের স্বার্থে, জেলার স্বার্থে সবাই সরকারের দেওয়া স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলুন, তাহলেই আমরা এই মাহামারি থেকে রক্ষা পাব। 

তিনি বলেন, যদি আপনারা এই স্বাস্থ্যবিধি মেনে না চলেন, তাহলে আমরা কঠোর সিদ্ধান্ত নিতে বাধ্য থাকব। আমাদের এই কর্মসূচিতে পুলিশ প্রশাসন, বিজিবি, জেলা স্বাস্থ্য বিভাগ, জেলা আওয়ামী লীগের নেতারাসহ সবাই অংশ নিয়েছেন।

এ সময় অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক নূর কুতুবুল আলম, পুলিশ সুপার জাহাঙ্গীর হোসেন, জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক দীপক কুমার রায়, ত্রাণ ও সমাজকল্যাণ বিষয়ক সম্পাদক নজরুল ইসলাম স্বপন, চিকিৎসক ফিরোজ জামান জুয়েলসহ জেলা করোনা কমিটির সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।

মো. নাহিদ রেজা/এনএ