যুবদল কর্মীর গুলিতে জামায়াতের ২ কর্মী গুলিবিদ্ধ
নোয়াখালীর বেগমগঞ্জে ফুটবল খেলা দেখা নিয়ে বিরোধের জেরে যুবদলের এক কর্মীর গুলিতে জামায়াতের দুই কর্মী গুলিবিদ্ধ হয়েছেন।
সোমবার (১৮ আগস্ট) সকালে বেগমগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) লিটন দেওয়ান ঘটনার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
বিজ্ঞাপন
এর আগে, রোববার দিবাগত রাত সাড়ে ৮টার দিকে উপজেলার গোপালপুর ইউনিয়নের বেতুয়াবাগ গ্রামের ওয়াসেকের দোকানের সামনে এ ঘটনা ঘটে।
আহতরা হলেন—মো. সজীব হোসেন (২০) ও মো. তুষার (২১)। তারা গোপালপুর ইউনিয়ন জামায়াত যুব বিভাগের সদস্য ও স্থানীয় বাসিন্দা। বর্তমানে দুজনই নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।
বিজ্ঞাপন
আরও পড়ুন
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, গত শুক্রবার গোপালপুর হাইস্কুল মাঠে মনির পাটোয়ারী স্মৃতি ফুটবল টুর্নামেন্ট চলাকালে জামায়াত কর্মী রাসেল ও বিএনপি কর্মী মানিকের মধ্যে বাকবিতণ্ডা হয়। ওইদিন সন্ধ্যায় যুবদল কর্মী হাবিব ও ছাত্রদল কর্মী মহসিনের নেতৃত্বে অস্ত্র মহড়া ও ককটেল বিস্ফোরণের ঘটনাও ঘটে। এরপর শনিবার রাতে তারা জামায়াত কর্মীদের খুঁজতে অস্ত্র নিয়ে এলাকায় তল্লাশি চালায়।
বেগমগঞ্জ উপজেলা জামায়াত যুব বিভাগের সভাপতি মো. জাকির হোসেন অভিযোগ করে বলেন, রোববার সন্ধ্যায় মধ্যস্থতার বৈঠকের সময় যুবদল ও ছাত্রদলের কয়েকজন কর্মী হামলা চালান। একপর্যায়ে যুবদল কর্মী হাবিব এলোপাতাড়ি গুলি চালালে সজীব ও তুষার গুলিবিদ্ধ হন। স্থানীয় বাসিন্দারা তাদের উদ্ধার করে হাসপাতালে ভর্তি করেন।
অভিযুক্ত যুবদল কর্মী হাবিব ও ছাত্রদল কর্মী মহসিনের সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও তারা ফোন রিসিভ করেননি।
এ বিষয়ে জেলা যুবদলের আহ্বায়ক মঞ্জুরুল আজিম সুমন বলেন, এ বিষয়ে আমার বিস্তারিত জানা নেই। খোঁজ নিয়ে পরে জানানো হবে।
ওসি লিটন দেওয়ান বলেন, ফুটবল খেলা দেখা নিয়ে স্থানীয় দুটি পক্ষের বিরোধ চলে আসছিল। রোববার রাতে এ বিষয়ে ডাকা একটি সমঝোতা বৈঠকে একটি পক্ষ হামলা চালিয়েছে। এতে দুজন গুলিবিদ্ধ হওয়ার প্রাথমিক তথ্য পাওয়া গেছে। পুলিশ অভিযুক্তদের ধরতে অভিযানে রয়েছে।
অবিলম্বে দোষীদের গ্রেপ্তারের দাবি ও ঘটনার প্রতিবাদে তীব্র নিন্দা জানিয়েছেন বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী নোয়াখালী জেলা আমির ইসহাক খন্দকার ও জেলা সেক্রেটারি মাওলানা বোরহান উদ্দিন।
এ বিষয়ে তারা বলেন, এ ধরনের সন্ত্রাসী ঘটনা কখনোই মেনে নেওয়া যায় না। অবিলম্বে দোষীদের গ্রেপ্তার করে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির ব্যবস্থা করতে হবে। অন্যথায় সাধারণ মানুষের মাঝে আতঙ্ক ও ক্ষোভ আরও বৃদ্ধি পাবে। শান্তিপূর্ণ রাজনৈতিক পরিবেশ নষ্ট করে দেওয়ার উদ্দেশে বারবার এমন ঘটনা ঘটানো হচ্ছে। আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে নিরপেক্ষভাবে তদন্ত করে প্রকৃত অপরাধীদের আইনের আওতায় আনার আহ্বান জানান তারা।
হাসিব আল আমিন/এএমকে