নিহত আবুল হাশেম

কুমিল্লায় সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত একই পরিবারের চারজনের মধ্যে বড় ছেলে আবুল হাশেম স্বপন সপরিবারে খাগড়াছড়ি বেড়াতে যাওয়ার পরিকল্পনা করেছিলেন। আগামী ২৭ আগস্টের টিকিট কেটেছিলেন তিনি। 

রোববার (২৪ আগস্ট) বিকেলে নিহত আবুল হাশেমের বন্ধু ব্যাংক কর্মকর্তা শাহনূর আলম ঢাকা পোস্টকে এ তথ্য জানিয়েছেন।

ব্যাংক কর্মকর্তা শাহনূর আলম বলেন, হাশেম আমার দীর্ঘদিনের বন্ধু ছিল। সে ব্যাংক এশিয়ার ঢাকার রূপনগর শাখার ব্যবস্থাপক ছিল। আগামী ২৭ আগস্ট স্ত্রী ও দুই সন্তানকে নিয়ে খাগড়াছড়ি বেড়াতে যাওয়ার পরিকল্পনা ছিল তার। সেজন্য সেন্ট মার্টিন হুন্দাই পরিবহনের চারটি টিকিট কাটা হয়েছিল। মারা যাওয়ার আগের দিন বৃহস্পতিবার রাতেও ওর সাথে আমার কথা হয়েছি। ভাগ্যের নির্মম পরিহাসে তার বেড়াতে যাওয়া হলো না আর।

প্রসঙ্গত, গত শুক্রবার (২২ আগস্ট) দুপুরে ঢাকা-চট্রগ্রাম মহাসড়কের কুমিল্লার পদুয়ার বাজার বিশ্বরোড ইউটার্নে সিমেন্টবোঝাই একটি কাভার্ডভ্যান প্রাইভেট কারের ওপর আছড়ে পড়ে। এতে ঘটনাস্থলেই প্রাইভেট কারে থাকা একই পরিবারের চারজন নিহত হন।

নিহতরা হলেন- কুমিল্লার বরুড়া উপজেলার হোসেনপুর গ্রামের মোহাম্মদ ওমর আলী (৮০), তার স্ত্রী নুরজাহান বেগম (৬৫), বড় ছেলে ব্যাংক এশিয়ার কর্মকর্তা মো. আবুল হাশেম (৫০) ও ছোট ছেলে আবুল কাশেম (৪৫)। প্রাইভেট কারটি চালাচ্ছিলেন বড় ছেলে আবুল হাশেম। একই দুর্ঘটনায় লরির নিচে থাকা সিএনজিচালিত অটোরিকশার তিন যাত্রীও আহত হন। আহতরা ঢাকা ও কুমিল্লার বিভিন্ন হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন। এ ঘটনায় সড়ক পরিবহন আইনে একটি মামলা দায়ের করা হয়েছে। এ ঘটনায় রোববার উল্টো পথে আসা হানিফ পরিবহনের সেই বাসটিকে জব্দ করেছে পুলিশ। ঘটনায় সড়ক পরিবহন আইনে একটি মামলা দায়ের করা হয়েছে।

আরিফ আজগর/আরএআর