নদীর চর দেবে ভাঙনের শঙ্কা, গ্রামজুড়ে আতঙ্ক
সাতক্ষীরার শ্যামনগর উপজেলার বুড়িগোয়ালিনীর উত্তর ভামিয়ার জমাদ্দারপাড়ায় খোলপেটুয়া নদীর চর দেবে ভয়াবহ ভাঙনের আশঙ্কা দেখা দিয়েছে। প্রায় ৪০০ ফুটজুড়ে নদীর চর হঠাৎ দেবে যাওয়ায় আতঙ্কে দিন কাটাচ্ছেন অন্তত সাড়ে ৩০০টি পরিবার। হুমকির মুখে পড়েছে এলাকার বসতবাড়ি, আবাদি জমি, মৎস্যঘের ও বিভিন্ন স্থাপনা।
স্থানীয় বাসিন্দারা জানান, গত ২৩ আগস্ট বিকেলে হঠাৎ করে নদীর চরের একটি বড় অংশ দেবে যায়। এরপর থেকেই এলাকাজুড়ে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। কিন্তু চার দিন পার হয়ে গেলেও পানি উন্নয়ন বোর্ড (পাউবো) ভাঙন রোধে কোনো কার্যকর পদক্ষেপ নেয়নি। এখন পর্যন্ত শুধু পরিদর্শনেই সীমাবদ্ধ রয়েছে তাদের কার্যক্রম।
বিজ্ঞাপন
গ্রামবাসীরা অভিযোগ করে বলেন, ভাঙন ক্রমেই ভয়াবহ আকার ধারণ করছে। নদীর তীরে ইতিমধ্যে ৭০ থেকে ৮০ ফুট গভীর গর্ত সৃষ্টি হয়েছে। দ্রুত ব্যবস্থা না নিলে উপকূল রক্ষা বাঁধ, নীলডুমুর ১৭ বিজিবি ব্যাটালিয়নের ক্যাম্প, স্থানীয় মসজিদ, মৎস্যঘেরসহ বিস্তীর্ণ এলাকা নদীগর্ভে বিলীন হয়ে যেতে পারে।
আরও পড়ুন
বিজ্ঞাপন
স্থানীয় বাসিন্দা এরশাদুর রহমান বাবু বলেন, চর দেবে যাওয়ার পর থেকে ভাঙন অব্যাহত রয়েছে। আমাদের ঘরবাড়ি আর ফসলি জমি ঝুঁকির মুখে আছে। অথচ পানি উন্নয়ন বোর্ড এখনো কোনো কার্যকর ব্যবস্থা নেয়নি।
আরেক বাসিন্দা আবুল হোসেন বলেন, ভাঙনের যে গতি, তাতে মনে হচ্ছে পুরো গ্রামই নদীতে বিলীন হয়ে যেতে পারে। আমরা এখন চরম অনিশ্চয়তায় দিন কাটাচ্ছি।
বুড়িগোয়ালিনী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান নজরুল ইসলাম বলেন, স্থানীয়দের কাছ থেকে খবর পেয়ে তিনি ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন এবং বিষয়টি উপজেলা প্রশাসন ও পানি উন্নয়ন বোর্ডকে অবহিত করেছেন।
এ বিষয়ে পানি উন্নয়ন বোর্ড-১-এর শ্যামনগর শাখার উপ-সহকারী প্রকৌশলী মো. ফরিদুল ইসলাম বলেন, ভাঙনকবলিত স্থান পরিদর্শন করা হয়েছে। প্রয়োজনীয় জরিপও সম্পন্ন হয়েছে। আশা করছি খুব শিগগিরই ভাঙনরোধে কাজ শুরু হবে।
ইব্রাহিম খলিল/এএমকে