করোনা সংক্রমণ মোকাবিলায় এবং সীমান্তবর্তী জয়পুরহাট জেলায় জনসাধারণের স্বাস্থ্যসুরক্ষা সুনিশ্চিত করার লক্ষ্যে জয়পুরহাট ও পাঁচবিবি পৌরসভা এলাকায় আরও এক সপ্তাহের জন্য গরুর হাট বন্ধের সময় বাড়ানো হয়েছে। আগামী ২১ জুন পর্যন্ত দ্বিতীয় দফার গরুর হাট বন্ধের এ বিধিনিষেধ চলবে।

মঙ্গলবার (১৫ জুন) জয়পুরহাট জেলা প্রশাসক মো. শরীফুল ইসলাম ঢাকা পোস্টকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

জেলা প্রশাসক বলেন, সামনে ঈদ, এ জন্য গরুর হাট তো খুলে দিতেই হবে। তবে আগের তুলনায় এখন জয়পুরহাট ও পাঁচবিবি পৌরসভায় করোনা সংক্রমণের হার কিছুটা কমেছে। আমাদের আগের জারি করা বিধিনিষেধ চলমান থাকবে। সেখানে গরুর হাট বন্ধের জন্য ১৪ জুন পর্যন্ত বন্ধের সিন্ধান্ত ছিল। সেই সিন্ধান্ত বাড়ানো হয়েছে।

প্রসঙ্গত, করোনা সংক্রমণ বেড়ে যাওয়ায় গত ৭ জুন থেকে জয়পুরহাট ও পাঁচবিবি পৌরসভা এলাকায় প্রতিদিন বিকেল ৫টা থেকে পরদিন সকাল ৬টা পর্যন্ত পরবর্তী নির্দেশনা না দেওয়া পর্যন্ত বিধিনিষেধ আরোপ করেছে জেলা প্রশাসন। মঙ্গলবার বিধিনিষেধের নবম দিন চলছে। ওই বিধিনিষেধে ১৪ জুন পর্যন্ত গরুর হাট বন্ধের নির্দেশ দেওয়া ছিল।

উল্লিখিত সময়ের মধ্যে জয়পুরহাট ও পাঁচবিবি পৌরসভা এলাকায় সব ধরনের ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান, শপিংমল, মার্কেট, কাঁচাবাজার, খুচরা ও পাইকারি বাজার, মুদি দোকান, রেস্টুরেন্ট ও চায়ের দোকান বন্ধ থাকবে। তবে ওষুধ, চিকিৎসাসেবা, মরদেহ দাফন/সৎকারকাজে জড়িত প্রতিষ্ঠানের আওতাবহির্ভূত থাকবে।

ওই সময়ের বাইরে জরুরি প্রয়োজন ছাড়া কোনোভাবেই বাড়ির বাইরে বের হওয়া যাবে না। জরুরি প্রয়োজনে চলাচলের ক্ষেত্রে নিজস্ব পরিচয়পত্র সঙ্গে রাখতে হবে। সব সামাজিক রাজনৈতিক ও ধর্মীয় গণজমায়েত বন্ধ থাকবে। সব ধরনের পর্যটনস্থল, কমিউনিটি সেন্টার ও বিনোদনকেন্দ্র বন্ধ থাকবে।

জনসমাবেশ হয়, এ ধরনের সামাজিক (বিবাহোত্তর অনুষ্ঠান, জন্মদিন, পিকনিক পার্টি ইত্যাদি), রাজনৈতিক ও ধর্মীয় আচার অনুষ্ঠান বন্ধ রাখতে হবে। সব পর্যটনস্থল, কমিউনিটি সেন্টার ও বিনোদন কেন্দ্র বন্ধ থাকবে। মাস্ক পরিধান শতভাগ নিশ্চিত করতে হবে। যথাযথভাবে মাস্ক পরিধান ছাড়া চলাচল করলে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

তবে এসব বিধিনিষেধের মধ্যে সরকারের রাজস্ব আদায়ের সঙ্গে সম্পৃক্ত সব দফতর-সংস্থা এ আদেশের আওতাবহির্ভূত থাকবে। সেই সঙ্গে সব ধরনের সরবরাহ ব্যবস্থাপনা সচল এবং কৃষিপণ্য বা খাদ্যসামগ্রী পরিবহন ও দূরপাল্লার আন্তজেলা পরিবহনসেবা এ আদেশের আওতাবহির্ভূত থাকবে।

চম্পক কুমার/এনএ