রাজবাড়ীর সিভিল সার্জন ডা. এস এম মাসুদ বলেছেন, টাইফয়েডের ভ্যাকসিনের মাধ্যমে বড় ধরনের রোগ থেকে বাচ্চারা সুরক্ষিত থাকবে। যে ভ্যাকসিনটা দেওয়া হবে এটা পরীক্ষিত ভ্যাকসিন। এটার কোনো সাইড ইফেক্ট নেই। কোনোভাবেই ভ্যাকসিনটা থেকে বাচ্চারা যেন বাদ পড়ে না যায় সে ব্যাপারে অভিভাবকদের নজর রাখতে হবে। সম্পূর্ণ বিনামূল্যে সরকার টাইফয়েডের ভ্যাকসিনটা দিচ্ছে।

সোমবার (১ সেপ্টেম্বর) সকালে একান্ত সাক্ষাৎকারে রাজবাড়ীর সিভিল সার্জন এসব কথা বলেন।

সিভিল সার্জন ডা. এস এম মাসুদ সাধারণ মানুষ এবং অভিভাবকের প্রতি আহ্বান জানিয়ে বলেন, অবশ্যই ৯ মাস থেকে ১৫ বছরের নিচ পর্যন্ত যেসব বাচ্চারা রয়েছে তাদের ভ্যাকসিনটি দেবেন।

ডা. এস এম মাসুদ বলেন, টাইফয়েড রোগটা অনেক পুরোনো, এটা নতুন রোগ না। এক সময় এই টাইফয়েড রোগে আগে অনেক রোগী মারা যেত। টাইফয়েডে এখনো অনেক রোগীর পেট ফুটো হয়ে যায়, অনেক সময় অপারেশন করতে হয়। সময় মতো অপারেশন না করলে রোগী মারাও যেতে পারে। সালমোনেলা টাইফি ব্যাকটেরিয়া অনেক সময় ব্রেনেও টাচ করতে পারে। এতে প্যারালাইসিস বা নিউরোলজিক্যাল প্রবলেম হতে পারে।প্রতি বছর উল্লেখযোগ্য পরিমাণ রোগী মারা যায় টাইফয়েডের কারণে। এজন্য সরকার এটাকে খুব গুরুত্বপূর্ণ মনে করছে। যাতে আমাদের কমিউনিটিতে টাইফয়েডের টিকা দিয়ে টাইফয়েডটাকে কমিয়ে নিয়ে আসা যায়। এই জন্য সরকার এই উদ্যোক্ত গ্রহণ করেছে।

তিনি বলেন, আমি এই জন্য সবাইকে আহ্বান জানাব আপনাদের ৯ মাস থেকে ১৫ বছরের নিচ পর্যন্ত বাচ্চাদের টাইফয়েডের ভ্যাক্সিন নেওয়ার জন্য নিকটস্থ কেন্দ্রে নিয়ে আসবেন। আপনারা জানেন যারা স্কুলে পড়ে তাদের স্কুলের মাধ্যমে রেজিস্ট্রেশন হচ্ছে, আপনারা বাসায় বসে মোবাইলের মাধ্যমে রেজিস্ট্রেশন করতে পারবেন। এছাড়া যারা স্কুলে পড়ে না এবং যাদের জন্ম নিবন্ধন নেই তাদের জন্য বিশেষ পদ্ধতিতে রেজিস্ট্রেশন করা হবে। সেভাবে আমাদের কমিউনিটিতে কোনো বাচ্চা যেন বাদ না যায় সে ব্যাপারে আমরা সচেতন রয়েছি। এ ব্যাপারে কোনো তথ্য বা সহযোগিতা লাগলে আমাদের সিভিল সার্জন অফিস সবসময় পাশে আছে। আমরা চাচ্ছি ১০০ শতাংশের কাছাকাছি আমাদের অর্জন হোক টাইফয়েড ভ্যাক্সিনের ব্যাপারে। আগামী অক্টোবরের ১২ তারিখ থেকে টাইফয়েডের ভ্যাকসিন দেওয়া শুরু হবে।

সিভিল সার্জন আরও বলেন, টাইফয়েডের ভ্যাকসিন না দিলে বিভিন্ন ঝুঁকি থেকে যাবে। টাইফয়েড একটি পানিবাহিত রোগ। কেউ যদি বাথরুম থেকে এসে সাবান দিয়ে হাত পরিষ্কার না করে ওই হাত দিয়ে যদি অন্য কাউকে পানি খাওয়াতে যায় সেই পানি দূষিত হয়ে যাবে ফলে ওই পানি অন্য কেউ খেলে সেও টাইফয়েডে আক্রান্ত হবে। তাই টাইফয়েড ভ্যাকসিনের মাধ্যমে তরুণ প্রজন্মকে বাঁচানোর জন্য সরকার এই উদ্যোগ নিয়েছে।

মীর সামসুজ্জামান সৌরভ/আরকে