হাতিয়ার প্রায় ৮ লাখ মানুষের চিকিৎসাসেবার জন্য কর্মরত চিকিৎসক রয়েছেন মাত্র ৬ জন। দীর্ঘদিন ধরে চলমান স্বাস্থ্যসেবায় অব্যবস্থাপনা ও চিকিৎসক সংকটের প্রতিবাদে নোয়াখালী জেলা শহরের সিভিল সার্জন কার্যালয় ঘেরাও করেছেন দ্বীপ উপজেলা হাতিয়ার সাধারণ মানুষ।

মঙ্গলবার (২ সেপ্টেম্বর) সকালে সম্মিলিত সামাজিক সংগঠনের ব্যানারে এই কর্মসূচি পালন করা হয়। এতে অংশগ্রহণকারীরা বলেন, হাতিয়ার ৫০ শয্যার হাসপাতালসহ ইউনিয়ন পর্যায়ের স্বাস্থ্যকেন্দ্রগুলোতে চিকিৎসকের পদ বহুদিন ধরে শূন্য। ফলে সাধারণ মানুষ ন্যূনতম চিকিৎসাসেবা থেকেও বঞ্চিত হচ্ছেন।

তারা অভিযোগ করেন, হাতিয়ায় বর্তমানে কর্মরত চিকিৎসক মাত্র ৬ জন। বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের তো প্রশ্নই ওঠে না, এমনকি সাধারণ চিকিৎসকও পর্যাপ্ত নেই। গাইনী চিকিৎসক না থাকায় প্রসূতি মায়েদের নানান জটিলতার সম্মুখীন হতে হচ্ছে। এতে প্রতিদিন লাখো মানুষকে চরম ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে।

বক্তারা আরও বলেন, কোনো রোগীর অবস্থা সামান্য জটিল হলে তাকে হাতিয়া থেকে নোয়াখালী জেলা শহর, চট্টগ্রাম কিংবা ঢাকায় নিতে হয়। এতে সময়মতো চিকিৎসা না পাওয়ার কারণে অনেক সময় রোগীর জীবনও হুমকির মুখে পড়ে।

এ কর্মসূচি থেকে বক্তারা ৮ দফা দাবি উত্থাপন করেন, যার মধ্যে রয়েছে- দ্রুত নতুন চিকিৎসক নিয়োগ, গাইনী ও শিশু বিশেষজ্ঞ নিয়োগ, হাসপাতালের অবকাঠামো উন্নয়ন, প্রয়োজনীয় যন্ত্রপাতি সরবরাহসহ স্বাস্থ্যসেবার সার্বিক মানোন্নয়ন।

বিক্ষোভ ও ঘেরাও শেষে দুপুর ১২টার দিকে সিভিল সার্জন কার্যালয়ের মেডিকেল অফিসার ডা. জান্নাতুন নাঈম কেয়া আন্দোলনকারীদের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন এবং সিভিল সার্জনের পক্ষ থেকে সমস্যা সমাধানের জন্য এক মাস সময় চান।

এ সময় আন্দোলনকারীরা হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেন, এই এক মাসের মধ্যে যদি দাবিগুলোর বাস্তবায়নে দৃশ্যমান অগ্রগতি না হয়, তাহলে আমরা বৃহত্তর আন্দোলনে যেতে বাধ্য হবো।

হাসিব আল আমিন/এআরবি