সাতক্ষীরার শ্যামনগর উপজেলার গাবুরা ইউনিয়নের সোরা গ্রামের ঝুঁকিপূর্ণ ব্রিজ দিয়ে প্রতিদিন হাজার হাজার মানুষ চলাচল করছে। ঝুঁকিপূর্ণ হওয়ায় প্রতিনিয়ত ঘটছে ছোট-বড় দুর্ঘটনা। দশ গ্রামের মানুষের যাতায়াতের প্রধান মাধ্যম জরাজীর্ণ ব্রিজটি যেকোনো মুহূর্তে ভেঙে পড়তে পারে।  

সরেজমিনে দেখা যায়, সংস্কারের অভাবে ব্রিজটির মাঝখানে ফাটল সৃষ্টি হওয়ায় ঝুঁকিপূর্ণভাবে যান চলাচল করছে। ব্রিজের দুই পাশের রেলিংগুলো ভেঙে পড়েছে। ব্রিজটি এখন দুর্ভোগের কারণ এলাকাবাসীর।

সোরা গ্রামের কামরুল গাইন বলেন, যেকোনো সময় ব্রিজটি খালের মধ্যে ধসে পড়তে পারে। ব্রিজটি দীর্ঘদিন ধরে ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে আছে। এর মাঝখানে বড় আকারের ফাটল ও প্লাস্টার খসে খসে পড়ছে। তারপরও ঝুঁকি নিয়ে প্রতিদিন হাজার হাজার মানুষ ও যানবাহন চলাচল করছে।

মোটরসাইকেল চালক সাত্তার শেখ বলেন, ব্রিজটি অতিরিক্ত ঝুঁকিপূর্ণ হওয়ার কারণে গাড়ি নিয়ে ব্রিজের ওপর উঠলেই মনে হয় কখন ভেঙে পড়বে। চলাচলের সময় ব্রিজটি কেঁপে ওঠে। এতে মনের মধ্যে ভীতির সৃষ্টি হয়।

ওই এলাকার আলহাজ্ব এম এম মুনছুর আলী বলেন, এটি ইউনিয়ন পরিষদের অংশ হওয়ায় যেন দেখার কেউ নেই। সড়কের ইটগুলো উঠে গিয়ে বড় বড় গর্ত ও কাঁদা মাটি দেখা দিয়েছে। একটু বৃষ্টি হলে সেখানে পানি জমে যাচ্ছে।এ ছাড়া গাবুরা অঞ্চলের সঙ্গে উপজেলার সড়কগুলোর যোগাযোগের ব্যবস্থা উন্নত না থাকায় উপজেলা সদরের অফিস আদালতে, হাসপাতাল ও ক্লিনিকে রোগী নিয়ে যাতায়াতে সময়ক্ষেপণসহ ঝুঁকি নিয়ে আসা-যাওয়া করতে হয়।

গাবুরা ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান আলহাজ্ব মাসুদুল আলম বলেন, গাবুরার ১০টি গ্রামের মানুষ এই ব্রিজ দিয়ে শ্যামনগর উপজেলায় যাতায়াত করে থাকে। বিকল্প রাস্তা না থাকায় ঝুঁকি নিয়ে প্রতিদিন হাজার হাজার মানুষ পারাপার করছে এই ব্রিজ দিয়ে। ঝুঁকিপূর্ণ ব্রিজের পাশে নতুন আরেকটি ব্রিজ নির্মাণের দাবি ইউনিয়নবাসীর। এ নিয়ে উপজেলায় মাসিক উন্নয়ন সভায় আলোচনা হয়েছে। কিন্তু অর্থ বরাদ্দ না থাকায় ইউনিয়ন পরিষদের পক্ষে নতুন ব্রিজ নির্মাণ করা সম্ভব নয়।

শ্যামনগর উপজেলা প্রকৌশলী নির্বাহী অফিসার আ.ন.ম আবুজর গিফারী জানান, উপজেলার বিভিন্ন গ্রামের সড়কগুলোর অধিকাংশ সংস্কার ও অনেক নতুন সড়ক, সেতু নির্মাণকাজ সম্পন্ন করা হয়েছে। পর্যায়ক্রমে বাকি যে সমস্ত সড়ক ও সেতুর বেহাল অবস্থা রয়েছে সেগুলোর সংস্কার কাজও করা হবে।

আকরামুল ইসলাম/এসপি