আমরা চেষ্টা করছি প্রকৃত অর্থে দুষ্টের দমন ও শিষ্টের পালন করতে

দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) কমিশনার (তদন্ত) মিয়া মুহাম্মদ আলি আকবার আজিজী বলেছেন, আমরা দাবি করে বলতে পারি, আমরা যা ব্রিফিং দিয়ে থাকি তা বস্তুনিষ্ঠ। এর মধ্যে সামান্যতম কৃপণতা নেই, কোনো লুকোচুরি নেই। আমরা চেষ্টা করছি প্রকৃত অর্থে দুষ্টের দমন ও শিষ্টের পালন করতে।

রোববার (৭ সেপ্টেম্বর) নেত্রকোনায় সরকারি দপ্তরগুলো থেকে জনগণের সেবা নিশ্চিতকরণ ও ভোগান্তি কমাতে দুদকের উদ্যোগে জেলা শহরের মোক্তারপাড়ার পাবলিক হলে দিনব্যাপী গণশুনানিতে তিনি এসব কথা বলেন।

মিয়া মুহাম্মদ আলি আকবার আজিজী বলেন, সংবাদমাধ্যমের যারা কর্মীবৃন্দ আছেন, আপনারাই জাতির বিবেক। আপনারাই আজ দুর্নীতি দমন কমিশনকে সঠিক পথে চলতে সহায়তা করছেন। আপনারাই কমিশনের চলার পথের নিয়ামক হিসেবে কাজ করছেন। আপনারা অগ্রণী ভূমিকা পালন করছেন। আপনাদের দৃষ্টিতেই আজ সমগ্র জাতি দুর্নীতির বিরুদ্ধে সচেতন হচ্ছে।

দুদক কমিশনার আরও বলেন, দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) মানুষকে নিপীড়নের কোনো ঘর বা যন্ত্র নয়। দেশজুড়ে বা সরকারি অফিসে যেখানেই দুর্নীতি রয়েছে, তা কঠিন শিলার মতো রূপ ধারণ করেছে, এই কঠিন শিলাকে সাবানের ফেনা দিয়ে পরিষ্কার করা যাবে না। কিন্তু পরিষ্কার করতেই হবে। সেই কঠিন শিলা যেন পরিষ্কার করা যায়, সেজন্য আমরা সবাই কঠিন সিদ্ধান্ত নিতে বদ্ধপরিকর।

জেলার ২৭টি দপ্তরের বিরুদ্ধে পাওয়া ৯৬টি অভিযোগের প্রেক্ষিতে প্রথমবারের মতো এ গণশুনানির আয়োজন করা হয়।

গত ২৪ আগস্ট থেকে ৪ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের সামনে, পাসপোর্ট অফিস, এসিল্যান্ড অফিস, রেজিস্ট্রার অফিসসহ মোট পাঁচটি স্থানে স্থাপিত বুথের মাধ্যমে ভুক্তভোগী ও সাধারণ জনগণের কাছ থেকে লিখিত অভিযোগ গ্রহণ করা হয়। সেসব অভিযোগ যাচাই-বাছাই করে আজ ৭ সেপ্টেম্বর জেলা শহরের মোক্তারপাড়াস্থ পাবলিক হলে গণশুনানির আয়োজন করা হয়।

গণশুনানিতে ভৌতিক বিলের অভিযোগের প্রেক্ষিতে গ্রাহক আব্দুর রাজ্জাকের পক্ষ থেকে উত্থাপিত অভিযোগ যাচাই করে পিডিবির নির্বাহী প্রকৌশলী সুপারিন্টেন্ডিং ইঞ্জিনিয়ার মো. সালাহ উদ্দীনের বিরুদ্ধে তদন্তের সিদ্ধান্ত নেয় দুদক।

এছাড়াও জেলা সাব-রেজিস্টার অফিসের অতিরিক্ত নকলনবিশ আ. কুদ্দুস হারিস এবং তল্লাশ কারক ওয়াফিজ মিয়ার বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় তাদের লাইসেন্স স্থগিতের নির্দেশ দিয়েছেন দুদকের কমিশনার (তদন্ত) মিয়া মুহাম্মদ আলি আকবার আজিজী।

চয়ন দেবনাথ মুন্না/এআরবি