বরগুনায় ক্যারাম খেলাকে কেন্দ্র করে সংঘর্ষে আহত ১৪
বরগুনার আমতলী উপজেলায় ক্যারাম খেলাকে কেন্দ্র করে দুই পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এতে উভয় পক্ষের কমপক্ষে ১৪ জন আহত হয়েছেন। এদের মধ্যে গুরুতর আহত অবস্থায় ১২ জনকে বরিশাল শের-ই বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
শনিবার (১৩ সেপ্টেম্বর) দুপুরের দিকে আমতলী উপজেলার হলদিয়া ইউনিয়নের উত্তর তক্তাবুনিয়া নামক এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। আমতলী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) দেওয়ান জগলুল হাসান রাতে সংঘর্ষের বিষয়টি নিশ্চিত করেন।
বিজ্ঞাপন
আহতরা হলেন- মীর আমির হামজা (৩০), মীর রফিকুল ইসলাম (৪০), মীর আলমাছ (৫০), মীর আঃ মালেক (৫০), মীর নাসির (৬২), মীর আলামিন (৬২), মীর শামীম (৩৪) মীর মোস্তফা (১৪), মজনু চৌকিদার (৫০), মাহবুব চৌকিদার (৪০), হাসান চৌকিদার (২৫), আবুল বাশার চৌকিদার (৪৫), রিয়াজুল চৌকিদার (২৮), এবং সংরক্ষিত আসনের ইউপি সদস্য হেনা (৪০)।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, সকালে উপজেলার হলদিয়া ইউনিয়ন পরিষদের সংরক্ষিত নারী ইউপি সদস্য হেনা বুলবুলির স্বামী মজনু চৌকিদারের উত্তর তক্তাবুনিয়া গ্রামের মুদি দোকানে যুব মীর, আরাফাত মীর, ও রাফি মীর ক্যারাম খেলছিলেন। এ সময় দোকান মালিকের ছেলে হাসান চৌকিদারের সঙ্গে তাদের কথা কাটাকাটি হয়। একপর্যায়ে উভয় পক্ষের লোকজন সমাবেত হয়ে দফায় দফায় সংঘর্ষে জড়িয়ে পরেন। এ সময় লাঠিসোঁটা ও দেশীয় বিভিন্ন অস্ত্রের আঘাতে উভয় পক্ষের অন্তত ১৪ জন আহত হয়। পরে স্থানীয় ও স্বজনরা আহতদের উদ্ধার করে আমতলী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক গুরুতর আহত ১২ জনকে বরিশাল শের-ই বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করেন।
বিজ্ঞাপন
আমতলী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের জরুরী বিভাগে দায়িত্বরত উপ-সহকারী মেডিকেল অফিসার জয়দেব হাওলাদার বলেন, আহতদের মাথা ও শরীরের বিভিন্ন স্থানে রক্তাক্ত জখম ও আঘাতের চিহ্ন রয়েছে। প্রাথমিক চিকিৎসা শেষে গুরুতর আহতদের উন্নত চিকিৎসার জন্য বরিশাল শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানা হয়েছে।
এ বিষয়ে আমতলী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) দেওয়ান জগলুল হাসান বলেন, ক্যারাম খোলা নিয়ে কথা-কাটাকাটির জেরে উভয় পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে এবং পরিস্থিতি স্বাভাবিক রয়েছে। তবে এখন পর্যন্ত থানায় কোনো লিখিত অভিযোগ পাইনি। অভিযোগ পেলে তদন্ত সাপেক্ষে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
মোঃ আব্দুল আলীম/এসএমডব্লিউ