মৌলভীবাজারের জুড়ী উপজেলার জায়ফরনগর ইউনিয়নে এক হতদরিদ্র নারীকে দেওয়া ভিডব্লিউবি (ভালনারেবল উইমেন বেনিফিট) কার্ডের চাল তাকে না দিয়ে অন্য স্বচ্ছল নারীকে দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে। ভুক্তভোগী ওই নারীর নাম অর্পনা রানী দাস। তিনি নিশ্চিন্তপুর গ্রামের বাসিন্দা। এ ঘটনায় রোববার (১৪ সেপ্টেম্বর) উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার (ইউএনও) কাছে তিনি লিখিত অভিযোগ করেছেন।

অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, সরকারের ভিডব্লিউবি কর্মসূচির আওতায় অর্পনা রানী দাস কার্ডের জন্য নির্বাচিত হন। স্থানীয় ইউপি সদস্য আজাদ মিয়া আনুষ্ঠানিকভাবে তার হাতে কার্ডটি হস্তান্তর করেন। কিন্তু কার্ড পাওয়ার কিছুক্ষণের মধ্যেই ইউনিয়ন পরিষদের সচিব রঞ্জন রায় ও ইউপি সদস্য আজাদ মিয়া জোরপূর্বক কার্ডটি তার কাছ থেকে কেড়ে নেন।

পরে ওই কার্ডে থাকা অর্পনার ছবি ছিঁড়ে ফেলে অন্য এক স্বচ্ছল নারীর ছবি বসিয়ে তথ্য পরিবর্তন করে তাকে দুই মাসের জন্য ৬০ কেজি চাল দেওয়া হয়।

অর্পনা রানী দাস অভিযোগে উল্লেখ করেন, তিনি বারবার চাল নিতে গেলে ইউপি সচিব ও ইউপি সদস্য খারাপ আচরণ করে তাকে তাড়িয়ে দেন। বিষয়টি ইউপি চেয়ারম্যান মাসুম রেজাকে জানালেও তিনি কোনো ব্যবস্থা নেননি। সরকারি নিয়ম অনুযায়ী কার্ড পেতে তিনি ডাচ্ বাংলা ব্যাংকের মাধ্যমে ৪৪০ টাকা জমা দেন। অথচ তার প্রাপ্য চাল অন্যজনকে দিয়ে প্রতারণা করা হয়েছে।

উপজেলা মহিলা বিষয়ক কর্মকর্তার কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, ভিডব্লিউবি তালিকায় অর্পনা রানী দাসের নাম এবং ছবি ঠিকভাবেই রয়েছে। উপজেলা মহিলা বিষয়ক কর্মকর্তা মো. সুজাউদ্দৌলা বলেন, অর্পনা রানী দাস সরকারি তালিকাভুক্ত ভিডব্লিউবি কার্ডধারী। তার চাল অন্য কাউকে দেওয়ার কোনো অধিকার কারও নেই।

অভিযোগের বিষয়ে ইউপি সদস্য আজাদ মিয়াকে একাধিকবার ফোনে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও তিনি সাড়া দেননি। তবে ইউপি সচিব রঞ্জন রায় দাবি করেন, অর্পনা রানী নামে একাধিক নারী থাকায় ভুল হয়েছে। বিষয়টি সংশোধন করে কার্ড বাতিল করা হবে।

ইউপি চেয়ারম্যান মাসুম রেজা বলেন, এটি একটি ভুল বোঝাবুঝি, দ্রুতই সমাধান করা হবে।

উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বাবলু সূত্রধর বলেন, ঘটনাটি তদন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

অনি চৌধুরী/এআরবি