সাতক্ষীরা ও কলারোয়া সীমান্ত এলাকায় আসন্ন শারদীয় দুর্গাপূজাকে ঘিরে ৪৮টি পূজামণ্ডপে কড়া নিরাপত্তা ব্যবস্থা নিয়েছে সাতক্ষীরা ব্যাটালিয়ন (৩৩ বিজিবি)।

বিজিবি জানায়, পূজাকে ঘিরে সীমান্ত এলাকায় আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে টহল, রেকি ও মোবাইল পেট্রোল কার্যক্রম জোরদার করা হয়েছে। পাশাপাশি অবৈধ অনুপ্রবেশ, চোরাচালান ও নাশকতাসহ যে কোনো অপতৎপরতা রোধে বিজিবি সতর্ক অবস্থানে রয়েছে।

এদিকে রোববার (২১ সেপ্টেম্বর) যশোর রিজিয়ন কমান্ডার, খুলনা সেক্টর কমান্ডার এবং সাতক্ষীরা ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লে. কর্নেল মো. আশরাফুল হক ভোমরা পুরাতন হাটখোলা সার্বজনীন পূজামণ্ডপ সরেজমিনে পরিদর্শন করেন। এ সময় তারা স্থানীয় জনপ্রতিনিধি, পূজা উদযাপন কমিটি ও গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গের সঙ্গে মতবিনিময় করেন। এদিন তারা উপহার হিসেবে নগদ অর্থ ও মিষ্টি দেন।

বিজিবি সূত্রে জানা গেছে, সাতক্ষীরা সদর ও কলারোয়া সীমান্ত এলাকায় ১৫টি বিওপি/ক্যাম্প ও একটি বেইজ ক্যাম্পের আওতায় পূজা অনুষ্ঠিত হবে। এর মধ্যে ঝাউডাঙ্গায় সর্বাধিক ১৫টি পূজামণ্ডপ রয়েছে। এ ছাড়া, পদ্মশাখরা, ভোমরা, গাজীপুর, ঘোনা, বাঁকাল, বৈকারী, কুশখালী, তলুইগাছা, কাকডাঙ্গা, মাদরা, হিজলদী ও চান্দুরিয়ায়ও পূজা উদযাপিত হবে।

অধিনায়ক লে. কর্নেল আশরাফুল হক বলেন, পূজামণ্ডপগুলোতে সর্বোচ্চ নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে বিজিবি ইতোমধ্যে মাঠে কাজ করছে। স্থানীয় প্রশাসন, পুলিশ ও আনসারের সঙ্গে সমন্বয়ে গোয়েন্দা নজরদারিও জোরদার করা হয়েছে। প্রয়োজনে তাৎক্ষণিক সহযোগিতা প্রদানের জন্য মনিটরিং সেলও গঠন করা হয়েছে।

পূজাকে কেন্দ্র করে সীমান্ত এলাকার বিভিন্ন মণ্ডপ ইতোমধ্যেই উৎসবমুখর পরিবেশে সাজানো শুরু হয়েছে। সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান ও সামাজিক আয়োজনের প্রস্তুতিও চলছে। বিজিবির কঠোর নিরাপত্তায় এবারের শারদীয় দুর্গাপূজা নিরাপদ, আনন্দময় ও সৌহার্দ্যপূর্ণ পরিবেশে সম্পন্ন হবে বলে আশা করা হচ্ছে।

ইব্রাহিম খলিল/এএমকে