নোয়াখালী জেলা শহরের একটি ভাড়া বাসা থেকে ইসরাত মীম (২৫) নামে এক তরুণীর মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। শুক্রবার (২৬ সেপ্টেম্বর) দুপুরে মাইজদীর ফকিরপুর এলাকায় একটি বাসা থেকে তার মরদেহ উদ্ধার করে সুধারাম মডেল থানা পুলিশ।

নিহত ইসরাত মীমের মা অভিযোগ করেছেন, তার মেয়েকে হত্যা করে পালিয়ে গেছে মেয়ের স্বামী দ্বীন মোহাম্মদ। ইসরাত মীম নোয়াখালীর হাতিয়া উপজেলার চর কৌশাল গ্রামের বাসিন্দা। তিনি চট্টগ্রামের হাজী মুহাম্মদ মুহসিন কলেজে পড়তেন। অভিযুক্ত স্বামী দ্বীন মোহাম্মদ লক্ষ্মীপুর জেলার চর মনসা গ্রামের নুর মোহাম্মদের ছেলে। তিনি নোয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (নোবিপ্রবি) ম্যানেজমেন্ট ইনফরমেশন সিস্টেমস (এমআইএস) বিভাগের শিক্ষার্থী।

জানা গেছে, প্রায় ছয় মাস আগে প্রেমের সম্পর্কের সূত্র ধরে ইসরাত ও দ্বীনের বিয়ে হয়। এরপর তারা মাইজদী শহরের একটি ভাড়া বাসায় থাকতে শুরু করেন। ছয় মাসে তারা তিনবার বাসা বদল করেছেন বলেও জানা যায়।

স্থানীয় সূত্র জানায়, শুক্রবার সকালে দ্বীন মোহাম্মদ স্ত্রী ইসরাত মীমের লাশ ফেলে পালিয়ে যান। পাশের একটি সিসিটিভি ক্যামেরায় তার পালিয়ে যাওয়ার দৃশ্য ধরা পড়ে। সহপাঠীরা জানান, আগের দিন তাদের মধ্যে ঝগড়া হয়েছিল।

নিহতের লাশ ময়নাতদন্তের জন্য নোয়াখালী ২৫০ শয্যাবিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে।

নিহতের এক সহপাঠী নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেন, ইসরাত মীম একটি চাকরি করতেন, যা নিয়ে তার স্বামীর সঙ্গে প্রায়ই ঝগড়া হতো। এ কারণে তিনি সেই চাকরি ছেড়ে দেন। শুক্রবার সকালে দ্বীন মোহাম্মদ একটি ভুয়া আইডি থেকে তার এক সহপাঠীকে মেসেজ করে জানান, তার স্ত্রী আত্মহত্যার চেষ্টা করেছেন। তাকে যেন সাহায্য করা হয়। পরে আরেকজন মেয়েকে ডেকে এনে ইসরাতকে ঝুলন্ত অবস্থা থেকে নামানো হয়, তখন দেখা যায় তিনি আর জীবিত নেই। মেয়েটির শরীরে আঘাতের চিহ্নও ছিল।

সুধারাম মডেল থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কামরুল ইসলাম বলেন, এ ঘটনায় মামলা নেওয়া হবে। মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হয়েছে, তবে প্রতিবেদন এখনো পাওয়া যায়নি। অভিযোগের ভিত্তিতে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

হাসিব আল আমিন/এআরবি