‎ভোলার চরফ্যাশন উপজেলার আহম্মদপুর ইউনিয়নের জামায়াতের বহিষ্কৃত সাবেক আমির ও দুলারহাট থানা শাখার বায়তুলমাল (ক্যাশিয়ার) মাওলানা ওমর ফারুকের নেতৃত্বে ৪৫ জনের একটি দল বিএনপিতে যোগদান করেছেন। দাবি করা হচ্ছে তারা সবাই জামায়াতে ইসলামীর নেতাকর্মী।

মঙ্গলবার (৩০ সেপ্টেম্বর) বিষয়টি জানাজানির পর জেলাজুড়ে নানা রকম মুখরোচক আলোচনা সৃষ্টি হয়েছে। তবে এ ঘটনায় ওমর ফারুকসহ বাকিদের সঙ্গে জামায়াতে ইসলামীর কোনো সম্পর্ক নেই বলে জানায় জেলা জামায়াতে ইসলামী।

‎জানা যায়, সোমবার দিবাগত রাতে চরফ্যাশন উপজেলা শহরে স্থানীয় বিএনপি নেতাকর্মীদের উপস্থিতিতে ভোলা-৪ সংসদীয় আসনের সাবেক সংসদ সদস্য নাজিম উদ্দীন আলমের বাসভবনে আনুষ্ঠানিকভাবে তারা বিএনপিতে যোগ দেন।

যোগদান অনুষ্ঠানে মাওলানা ওমর ফারুক বলেন, চরফ্যাশনের দুলারহাট থানা এলাকায় জামায়াতে ইসলামীর কর্মকাণ্ডে আমরা সন্তুষ্ট ছিলাম না। বিএনপির কার্যক্রম আমাদের কাছে গ্রহণযোগ্য মনে হওয়ায় আমিসহ জামায়াতের ৪৫ জন নেতাকর্মী সাবেক এমপি নাজিম উদ্দীন আলমের হাত ধরে বিএনপিতে যোগদান করেছি।

‎এ সময় সাবেক সংসদ সদস্য নাজিম উদ্দীন আলম বলেন, বিএনপির কার্যক্রমে আস্থা রেখে এবং গণতন্ত্রের পক্ষে থাকার প্রত্যয়ে আপনারা বিএনপিতে যোগদান করেছেন এজন্য আমি আন্তরিকভাবে আপনাদের ধন্যবাদ জানাই। যোগদানকৃত ৪৫ জনের উদ্দেশে তিনি বলেন, আপনাদের এই যোগদান বিএনপিকে আরও শক্তিশালী করবে এবং আগামী নির্বাচনে বিএনপির বিজয়ের পথ সুগম হবে।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে জামায়াতে ইসলামীর ভোলা জেলা সেক্রেটারি মাওলানা হারুন অর রশিদ ঢাকা পোস্টকে বলেন, মাওলানা ওমর ফারুকসহ বিএনপিতে যোগ দেওয়া ওই ৪৫ জনের কেউই জামায়াতে ইসলামীর নেতাকর্মী না। ২০২৪ সালের ৫ জুলাই ফারুককে দলীয় অর্থ আত্মসাৎ ও শৃঙ্খলা ভঙ্গের দায়ে সংগঠন থেকে বহিষ্কার করা হয়। বহিষ্কারাদেশের সেই চিঠি আমাদের কাছে রয়েছে। পরবর্তীতে গত ১ বছর ধরে তার সঙ্গে জামায়াতে ইসলামীর কোনো সম্পর্ক নেই। ওমর ফারুকের নেতৃত্বে অন্যান্য যারা বিএনপিতে যোগ দিয়েছেন তাদের কাউকেই আমরা চিনি না। ওই ৪৫ জনকে জামায়াতে ইসলামীর নেতাকর্মী বলার ঘটনার প্রতিবাদ জানাই।

মো. খাইরুল ইসলাম/এএমকে