গাইবান্ধার সুন্দরগঞ্জ উপজেলার বেলকা ইউনিয়নের কিশামত সদর গ্রামে একটি অসুস্থ গরু জবাইয়ের পর ১১ জন অ্যানথ্রাক্সে আক্রান্ত হয়েছেন। তাদের মধ্যে পাঁচজনকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।

স্থানীয় বাসিন্দারা জানান, গত শনিবার গ্রামের বাসিন্দা মাহবুর রহমানের একটি গরু হঠাৎ অসুস্থ হয়ে পড়ে। পরে সেটি জবাই করে মাংস ভাগাভাগি করেন কয়েকজন। এ কাজে অংশ নেওয়া ১১ জনের শরীরে কয়েকদিন পর ফোসকা ও ঘা দেখা দেয়। আক্রান্তদের হাত, মুখ, চোখ ও নাকে পচন ধরার মতো উপসর্গও ধরা পড়ে।

আক্রান্তদের মধ্যে মোজা মিয়া, মোজাফফর মিয়া, শফিকুল ইসলাম ও মাহবুর রহমান অসুস্থ অবস্থায় গাইবান্ধা জেলা হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন। বাকিরা স্থানীয়ভাবে চিকিৎসা নিচ্ছেন।

উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. দিবাকর বসাক ঢাকা পোস্টকে বলেন, অ্যানথ্রাক্সের উপসর্গ নিয়ে কয়েকজন রোগী আমাদের হাসপাতালে এসেছিলেন। তাদের প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে। পাশাপাশি তাদেরকে গাইবান্ধা ও রংপুর যাওয়ার পরামর্শ দিয়েছি।

তিনি আরও বলেন, এই রোগে আতঙ্কিত হওয়ার কিছু নেই। কয়েকদিনের নিয়মিত চিকিৎসায় রোগী সুস্থ হয়ে ওঠে। এই ভাইরাস মানুষ থেকে মানুষে ছড়ায় না। শুধু অসুস্থ গবাদি পশু থেকে এটি ছড়ায়। তাই তিনি অসুস্থ গবাদি পশু জবাই করা থেকে বিরত থাকার জন্য সবার প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন।

বেলকা ইউনিয়ন পরিষদের ইউপি সদস্য হাফিজার রহমান বলেন, গরুটি অসুস্থ থাকার পরও গ্রামের কয়েকজন সেটি জবাই করেন। জবাই ও মাংস কাটাকাটির কাজ যারা করেছেন, তারা সবাই অসুস্থ হয়ে পড়েন।

আক্রান্ত পরিবারের সদস্যরা বলছেন, এর আগে এভাবে একসঙ্গে এত মানুষ আক্রান্ত হওয়ার ঘটনা ঘটেনি। স্থানীয় বাসিন্দাদের অনেকে এখন গরু-ছাগল জবাইয়ে ভয় পাচ্ছেন।

রিপন আকন্দ/এএমকে