চুয়াডাঙ্গায় এক দিনে সর্বোচ্চ সংখ্যক সংক্রমণের রেকর্ড হয়েছে। গত ২৪ ঘণ্টায় জেলায় নতুন করে ৭৬ জনের করোনা শনাক্ত হয়েছে, যা শনাক্তের হার বিবেচনায় ৩৯.৩৮ শতাংশ। এ নিয়ে জেলায় মোট আক্রান্তের সংখ্যা ২ হাজার ৫২৩ জনে দাঁড়াল।

এদিকে জেলায় করোনায় আরও ৩ জনের মৃত্যু হয়েছে। এদের মধ্যে দুইজন জীবননগর ও একজন দামুড়হুদা উপজেলার বাসিন্দা বলে জানিয়েছে জেলা স্বাস্থ্য বিভাগ। এই তিনজনের মধ্যে একজন জেলার বাইরে মারা গেছেন। তিনি জীবননগর উপজেলার বাসিন্দা। এ নিয়ে জেলায় মৃতের সংখ্যা বেড়ে ৭৭ জনে দাঁড়াল। এ পর্যন্ত জেলায় মৃত্যু হয়েছে ৬৮ জনের ও জেলার বাইরে ৯ জনের। গত ২৪ ঘণ্টায় করোনা থেকে সুস্থ হয়েছেন ৭ জন। জেলায় মোট সুস্থ হলেন ১ হাজার ৯৩৮ জন।

শুক্রবার (১৮ জুন) চুয়াডাঙ্গা স্বাস্থ্য বিভাগের কাছে ১৯৩টি নমুনা পরীক্ষার ফলাফল আসে। এর মধ্যে শনাক্ত হয় ৭৬ জনের। নতুন আক্রান্ত রোগীদের মধ্যে ৩৫ জন দামুড়হুদার বাসিন্দা। অন্যদের মধ্যে সদর উপজেলার ৩৫ জন, আলমডাঙ্গা উপজেলার ৪ জন ও জীবননগর উপজেলার ২ জন।

এদিন নতুন করে কারোর নমুনা সংগ্রহ করে পরীক্ষার জন্য সংশ্লিষ্ট ল্যাবে পাঠানো হয়নি। এ নিয়ে মোট ১১ হাজার ৬৪৮ জনের নমুনা পাঠানো হয়েছে। পরীক্ষার রিপোর্ট পাওয়া গেছে ১১ হাজার ১৮২ জনের।

বর্তমানে চুয়াডাঙ্গায় মোট করোনা রোগীর সংখ্যা ৫০৮ জন। এদের মধ্যে চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলার ১৭১ জন, আলমডাঙ্গা উপজেলার ৪৮ জন, দামুড়হুদা উপজেলার ২০২ জন ও জীবননগর উপজেলার ৮৭ জন রয়েছেন।

সদর উপজেলার ১৭১ জনের মধ্যে ১৯ জন হাসপাতালে, বাড়িতে ১৫১ জন থেকে চিকিৎসা নিচ্ছেন। একজনকে রেফার্ড করা হয়েছে। আলমডাঙ্গা উপজেলায় ৪৮ জনের মধ্যে ৪১ জন বাড়িতে, ৬ জন হাসপাতালে চিকিৎসা নিচ্ছেন। ১ জনকে রেফার্ড করা হয়েছে।

দামুড়হুদা উপজেলার ২০২ জনের মধ্যে বাড়িতে ১৮৪ জন ও হাসপাতালে ১৬ জন চিকিৎসা নিচ্ছেন। রেফার্ড করা হয়েছে ২ জনকে। জীবননগর উপজেলার ৮৭ জনের মধ্যে ৩ জন হাসপাতালে ও ৮৪ জন বাড়িতে আইসোলেশনে রয়েছে।

চুয়াডাঙ্গা সিভিল সার্জন ডা. এ এস এম মারুফ হাসান বলেন, শুক্রবারের ফলাফলের মধ্যে জেলায় একদিনে এটিই সর্বোচ্চ আক্রান্ত। ২৪ ঘণ্টায় জেলায় তিন জনের মৃত্যু হয়েছে। প্রয়োজনীয় সংখ্যক নার্স এবং পর্যাপ্ত ওষুধ রয়েছে। অক্সিজেনেরও সংকট নেই।

আফজালুল হক/ওএফ