চাঁদপুরে নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে ইলিশ ধরার দায়ে গত ২৪ ঘণ্টায় পৃথক অভিযানে ১১ জেলেকে আটক করেছে জেলা ও উপজেলা টাস্কফোর্স। এ সময় ২৪১ কেজি ইলিশ, ২৭ লাখ ১ হাজার ৬০০ মিটার জাল ও ৬টি মাছ ধরার নৌকা জব্দ করা হয়েছে।

সোমবার (১০ অক্টোবর) দুপুরে নৌ-পুলিশ চাঁদপুর অঞ্চলের সহকারী পুলিশ সুপার ইমতিয়াজ আহমেদ এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

নৌ-পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, গত ২৪ ঘণ্টায় চাঁদপুরে পদ্মা-মেঘনা নদীর বিভিন্ন এলাকায় এই অভিযান চালানো হয়। এ সময় নদীতে মাছ ধরা অবস্থায় ১১ জেলেকে আটক ও তাদের বিরুদ্ধে মৎস্য আইনে ৫টি মামলা করা হয়েছে।

নৌ-পুলিশ চাঁদপুর অঞ্চলের সহকারী পুলিশ সুপার ইমতিয়াজ আহমেদ বলেন, মা ইলিশ রক্ষায় জেলা টাস্কফোর্সের নিয়মিত অভিযান অব্যাহত আছে। নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট, নৌ-পুলিশ, কোস্ট গার্ড ও মৎস্য বিভাগ ২৪ ঘণ্টা নদীতে পৃথক অভিযান পরিচালনা করছে। এরই ধারাবাহিকতায় ১১ জেলেকে আলামতসহ আটক ও তাদের বিরুদ্ধে মৎস্য আইনে ৫টি মামলা করা হয়েছে। এছাড়া জব্দ করা মাছ স্থানীয় এতিমখানায় বিতরণ এবং কারেন্ট জালগুলো আগুনে পুড়িয়ে নষ্ট করা হয়েছে।

নৌ পুলিশ চাঁদপুর অঞ্চলের পুলিশ সুপার সৈয়দ মোশফিকুর রহমান বলেন, সরকার ঘোষিত ২২ দিনের মা ইলিশ সংরক্ষণ অভিযান সফলভাবে বাস্তবায়নে নৌ পুলিশ সর্বদা তৎপর রয়েছে। নদীতে যারা নিষিদ্ধ সময়ে ইলিশ আহরণে লিপ্ত হবে, তাদের বিরুদ্ধে কঠোর আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। আমাদের লক্ষ্য মা ইলিশ রক্ষা করে ভবিষ্যৎ প্রজন্মের জন্য টেকসই ইলিশ সম্পদ নিশ্চিত করা।

জেলা প্রশাসন, নৌ পুলিশ, মৎস্য অধিদপ্তর, কোস্টগার্ড ও স্থানীয় প্রশাসনের সমন্বয়ে মা ইলিশ সংরক্ষণ কার্যক্রম চলমান রয়েছে এবং অভিযান অব্যাহত থাকবে বলেও জানান এ কর্মকর্তা।

প্রসঙ্গত, মা ইলিশ রক্ষায় ৪ অক্টোবর থেকে ২৫ অক্টোবর পর্যন্ত ২২ দিন নদীতে সকল ধরনের মাছ শিকারে নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে সরকার। নিষেধাজ্ঞাকালীন মাছ শিকারে নদীতে নামলে আটক ব্যক্তির সর্বোচ্চ ২ বছরের জেল, ৫ লক্ষ টাকা জরিমানা অথবা উভয় দণ্ডে দণ্ডিত করার বিধান রয়েছে। এ নির্দেশনা বাস্তবায়নে মৎস্য বিভাগ ও নৌ-পুলিশসহ সংশ্লিষ্ট প্রশাসনের অভিযান অব্যাহত রয়েছে বলে জানা গেছে।

আনোয়ারুল হক/এআরবি