রাবির বিসিএস পরীক্ষার্থীদের জন্য ১৪টি বাস, সহযোগিতায় প্রশাসন ও রুয়া

৪৯তম বিসিএস (বিশেষ) পরীক্ষায় অংশগ্রহণকারী রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের (রাবি) শিক্ষার্থীদের ঢাকায় যাতায়াতের সুবিধার্থে প্রশাসনের পক্ষ থেকে ৪টি এবং রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় অ্যালামনাই অ্যাসোসিয়েশনের (রুয়া) পক্ষ থেকে ১০টি সর্বমোট ১৪টি বাসের ব্যবস্থা করা হয়েছে।

বৃহস্পতিবার (৯ অক্টোবর) রাত সাড়ে ৯টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের জোহা চত্বর থেকে এসব বাস একযোগে ঢাকার উদ্দেশ্যে রওনা দেয়। ফেরার সময় পরীক্ষার্থীরা ঢাকার কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারের সামনে থেকে বিকেল ৩টায় বাসে করে রাজশাহীতে ফিরবেন।

এর আগে, পরীক্ষার্থীদের সুবিধা বিবেচনায় নিয়ে রাবি থেকে ঢাকায় বাস বরাদ্দের দাবিতে বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিবহন দপ্তরের প্রশাসকের কাছে স্মারকলিপি দেয় রাবি শাখা ছাত্রশিবির।

এ বিষয়ে বিসিএস পরীক্ষার্থী আতাউল্লাহ বলেন, ৪৯তম বিশেষ বিসিএস পরীক্ষার জন্য আমরা রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা ঢাকায় যাচ্ছি। শুরুতে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের পক্ষ থেকে মাত্র ৪টি বাসের ব্যবস্থা করা হয়েছিল, যা শিক্ষার্থীর সংখ্যা অনুযায়ী যথেষ্ট ছিল না। পরে বাসের সংখ্যা বাড়িয়ে ১০টি করা হয়, যা সত্যিই প্রশংসনীয় উদ্যোগ। আমি মনে করি, এটি রাবির ইতিহাসে একটি স্মরণীয় মুহূর্ত হয়ে থাকবে। আজ আমরা যারা পরীক্ষা দিতে যাচ্ছি, আমাদের জন্য দোয়া করবেন। আশা করি ভবিষ্যতে আরও ভালো ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

রাবি শাখা ছাত্রশিবিরের সভাপতি ও রাকসুর ‘সম্মিলিত শিক্ষার্থী জোট’ ভিপি প্রার্থী মুস্তাকুর রহমান জাহিদ বলেন, ৪৯তম বিশেষ বিসিএস পরীক্ষায় অংশ নিতে রাবি থেকে আজ ৭৩১ জন শিক্ষার্থী ঢাকায় যাচ্ছেন। শুরুতে মাত্র চারটি বাসের ব্যবস্থা করা হয়েছিল, যা এত শিক্ষার্থীর জন্য পর্যাপ্ত ছিল না। পরে আমাদের অনুরোধে এবং রুয়ার সহযোগিতায় বাস সংখ্যা বাড়িয়ে ১৪টি করা হয়। এতে শিক্ষার্থীরা অনেকটাই স্বস্তি পেয়েছেন।

রাকসু নির্বাচন প্রসঙ্গে তিনি বলেন, আমরা বিশ্বাস করি, সম্মিলিত শিক্ষার্থী জোট নির্বাচিত হলে ভবিষ্যতে শিক্ষার্থীদের স্বার্থে এমন সহযোগিতা আরও জোরদার হবে।

রুয়ার দপ্তর সম্পাদক কাজী মামুন রানা বলেন, রুয়ার নবগঠিত কমিটির উদ্যোগে ৪৯তম বিসিএস পরীক্ষায় অংশগ্রহণকারী রাবি শিক্ষার্থীদের জন্য ঢাকাগামী ১০টি বাসের ব্যবস্থা করা হয়েছে। এটি শিক্ষার্থীদের আর্থিক সহায়তার পাশাপাশি নিরাপদ ও সুষ্ঠু পরিবেশে যাতায়াত নিশ্চিত করবে। শিক্ষার্থীরা এই বাসগুলোতে সম্পূর্ণ বিনামূল্যে ভ্রমণ করতে পারবে।

তিনি আরও বলেন, রুয়া মূলত বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের কল্যাণে গঠিত একটি সংগঠন। আমরা ইতোমধ্যে শিক্ষাবান্ধব নানা উদ্যোগ হাতে নিয়েছি। এর অংশ হিসেবে ক্যাম্পাসে ইলেকট্রিক গাড়ি চালু, দরিদ্র শিক্ষার্থীদের জন্য বিভিন্ন ভাতা এবং হলের খাবারের মান উন্নয়নে কাজ করার পরিকল্পনা রয়েছে। রাকসু নির্বাচন শেষে এসব পরিকল্পনার বাস্তবায়ন শুরু হবে। পাশাপাশি আরও কিছু নতুন উদ্যোগ পরে জানানো হবে।

জুবায়ের জিসান/এআরবি