রংপুর বিভাগে করোনাভাইরাসের থাবা ভয়ংকর পরিস্থিতির দিকে যাচ্ছে। প্রতিদিন আক্রান্তের সঙ্গে বাড়ছে মৃত্যুর সংখ্যা। গত ২৪ ঘণ্টায় বিভাগে করোনায় আক্রান্ত আরও আটজনের মৃত্যু হয়েছে। এর মধ্যে রংপুরের ১ জন, ঠাকুরগাঁওয়ের ৩ জন, দিনাজপুরের ৪ জন রয়েছেন। এ নিয়ে রংপুর বিভাগে করোনায় মৃত্যুর সংখ্যা বেড়ে ৪৫২ জনে পৌঁছেছে।

একই সময়ে বিভাগের আট জেলায় নতুন করে ১১৩ জনের করোনা পজিটিভ রিপোর্ট এসেছে। সুস্থ হয়েছেন ৭৪ জন রোগী। বিভাগে বর্তমানে ২১ হাজার ৬৩১ জন করোনা আক্রান্ত রোগী শনাক্ত হয়েছে। তাদের মধ্যে সুস্থ হয়েছেন ১৮ হাজার ৬৯১ জন। বর্তমানে হাসপাতালে চিকিৎসা নিচ্ছেন ১৬৬ জন।

শনিবার (১৯ জুন) বিকেলে ঢাকা পোস্টকে এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন রংপুর বিভাগীয় স্বাস্থ্য পরিচালক (ভারপ্রাপ্ত) ডা. আবু জাকিরুল ইসলাম।

স্বাস্থ্য পরিচালকের কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, শুক্রবার (১৮ জুন) বিভাগের আট জেলার ৩৮৮ জনের নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে। এতে নতুন করে ১১৩ জন করোনা পজিটিভ রোগী পাওয়া গেছে, যা নমুনা পরীক্ষার ২৯ শতাংশ। এ নিয়ে ১ লাখ ৪২ হাজার ৯৮৫ জনের নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে।

গত ২৪ ঘণ্টায় নতুন শনাক্তের মধ্যে রংপুরে ২০ জন, পঞ্চগড়ে ২ জন, নীলফামারীতে ৫ জন, লালমনিরহাটে ৫ জন, কুড়িগ্রামে ৩ জন, ঠাকুরগাঁওয়ে ১১ জন, দিনাজপুরে ৬৫ জন ও গাইবান্ধায় ২ জন রয়েছেন। একই সময়ে রংপুরের ১ জন, ঠাকুরগাঁওয়ের ৩ জন, দিনাজপুরের ৪ জন করোনা আক্রান্ত রোগীর মৃত্যু হয়েছে।

শুক্রবার পর্যন্ত দিনাজপুর জেলায় করোনায় ৬ হাজার ৮৭৬ জন আক্রান্ত ও মৃত্যুর সংখ্যা ১৬৫-তে রয়েছে। রংপুর জেলায় ৫ হাজার ৩৭৮ জন আক্রান্ত ও মৃত্যু হয়েছে ১০৪ জনের। ঠাকুরগাঁও জেলায় ২ হাজার ২৭৭ জন আক্রান্ত ও ৫৭ জনের মৃত্যু, গাইবান্ধা জেলায় ১ হাজার ৮৬০ জন আক্রান্ত ও ২৩ জনের মৃত্যু হয়েছে।

এ ছাড়া নীলফামারী জেলায় ১ হাজার ৬৭০ জন আক্রান্ত ও ৩৮ জনের মৃত্যু, কুড়িগ্রাম জেলায় ১ হাজার ৪১৫ জন আক্রান্ত ও ২৬ জনের মৃত্যু, লালমনিরহাট জেলায় ১ হাজার ২৭৩ জন আক্রান্ত ও ১৯ জনের মৃত্যু এবং পঞ্চগড় জেলায় ৮৮২ জন আক্রান্ত ও ২০ জনের মৃত্যু হয়েছে।

বিভাগীয় স্বাস্থ্য পরিচালক (ভারপ্রাপ্ত) ডা. আবু মো. জাকিরুল ইসলাম বলেন, মানুষের সচেতনতার অভাব বেশি। মুখে মাস্ক পরিধান করা কমে গেছে। স্বাস্থ্যবিধি অমান্য করে অবাধে চলাফেরাও বেড়েছে। এ রকম উদাসীনতার কারণে পুরো বিভাগ ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে উঠছে। ইতোমধ্যে বেশি সংক্রমণপ্রবণ এলাকা হিসেবে দিনাজপুর, হাকিমপুর ও কুড়িগ্রামের তিনটি ওয়ার্ডে জোনভিত্তিক লকডাউন দেওয়া হয়েছে।

ফরহাদুজ্জামান ফারুক/এনএ