ময়মনসিংহের ভালুকায় জমি দখল ও চাঁদাবাজির মামলা থেকে বহিষ্কৃত বিএনপি নেতা ফখরুদ্দিন আহমেদ বাচ্চু নাম বাদ দেওয়া হয়েছে। এ নিয়ে উপজেলা বিএনপির রাজনৈতিক মহলে নানা রকম গুঞ্জন সৃষ্টি হয়েছে।

ময়মনসিংহ চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেটের ভালুকার আমলি আদালতে মামলার তদন্ত কর্মকর্তা গত বৃহস্পতিবার (১৬ অক্টোবর) দুপুরে এই চূড়ান্ত প্রতিবেদন দাখিল করেন।

শুক্রবার (১৭ অক্টোবর) জেলা গোয়েন্দা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি-দক্ষিণ) মো. মহিদুল ইসলাম এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

ফখরুদ্দিন আহমেদ বাচ্চু দক্ষিণ জেলা বিএনপির সাবেক যুগ্ম আহ্বায়ক এবং ভালুকা উপজেলা বিএনপির সাবেক আহ্বায়ক। এ ছাড়া, বিগত সময়ে তিনি ময়মনসিংহ-১১ (ভালুকা) আসনে বিএনপির দলীয় ধানের শীষ প্রতীকে নির্বাচন করেছেন।

স্থানীয় রাজনৈতিক প্রতিপক্ষের অভিযোগ উঠেছে, আর্থিক লেনদেনের বিনিময়ে এই বিএনপি নেতার নাম মামলার চূড়ান্ত চার্জশিট থেকে বাদ দেওয়া হয়েছে।

তবে ডিবি পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মহিদুল ইসলাম এই অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, অনেকে অনেক কিছু বলতে পারে। কিন্তু আর্থিক লেনদেনের অভিযোগ মিথ্যা। মূলত মামলার এজাহার তদন্ত সাপেক্ষে আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করা হয়েছে। এতে নিরপেক্ষতার কোনো ব্যাতয় হয়নি।

সূত্র জানায়, গত বছরের ৫ আগস্ট-পরবর্তী সময়ে ভালুকার এলজি বাটারফ্লাই ম্যানুফেকচারিং কোম্পানির কাছে চাঁদাবাজির অভিযোগ ওঠে। এর পরিপ্রেক্ষিতে শৃঙ্খলাবিরোধী কার্যকলাপে লিপ্ত থাকার সুস্পষ্ট অভিযোগের ভিত্তিতে ফখরুদ্দিন আহমেদ বাচ্চুকে দলের প্রাথমিক সদস্যপদসহ সব পর্যায়ের পদ থেকে বহিষ্কার করে কেন্দ্রীয় বিএনপি। গত বছরের ১ সেপ্টেম্বর দলের সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে এ কথা জানানো হয়।

এ ঘটনায় ৩ সেপ্টেম্বর বাচ্চুসহ ১৫-২০ জনের বিরুদ্ধে মামলা করেন বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব সৈয়দ এমরান সালেহ প্রিন্স। ওই মামলার এজাহারে অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নিতে অনুরোধ করা হয়।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে ভালুকা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) হুমায়ুন কবির বলেন, ‌অভিযোগ দায়েরের পর মামলাটি তদন্ত করেছে জেলা গোয়েন্দা পুলিশ। তদন্ত শেষে আদালতে অভিযোগপত্র জমা দিয়েছেন তারা। তবে বাচ্চুর নাম কীভাবে মামলা থেকে বাদ পড়েছে, তা বলতে পারবো না। বিষয়টি ডিবি পুলিশ ভালো জানে।

ঘটনার বিষয়ে বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব ও মামলার বাদী সৈয়দ এমরান সালেহ প্রিন্স বলেন, এ নিয়ে আমার কোনো প্রতিক্রিয়া নেই।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে ফখরুদ্দিন আহমেদ বাচ্চুর সঙ্গে একাধিকবার যোগাযোগের চেষ্টা করা হয়, তবে তিনি কল রিসিভ করেননি।

মো. আমান উল্লাহ আকন্দ/এএমকে