জুলাই সনদে স্বাক্ষর দেশের ইতিহাসে যুগান্তকারী ঘটনা

জুলাই জাতীয় সনদে স্বাক্ষর দেশের ইতিহাসে যুগান্তকারী ঘটনা বলে মন্তব্য করেছেন বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় নির্বাহী পরিষদের সদস্য এটিএম আজহারুল ইসলাম। এর মাধ্যমে দেশের মানুষ হারানো ভোটাধিকার ফিরে পাবে- এমনটাই মনে করছেন তিনি।

শনিবার (১৮ অক্টোবর) সন্ধ্যায় রংপুরের তারাগঞ্জ উপজেলার বেলতলি মেডিকেল মোড় এলাকায় অনুষ্ঠিত পথসভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ মন্তব্য করেন। কুর্শা ইউনিয়ন জামায়াতে ইসলামীর সভাপতি মোহাম্মদ মোহছেনুল হক প্রামানিক এতে সভাপতিত্ব করেন।

এটিএম আজহারুল ইসলাম বলেন, প্রতিবেশী ভারত পদ্মায় ফারাক্কা বাঁধ এবং তিস্তায় গজলডোবা বাঁধ দিয়ে আমাদের এই অঞ্চলকে পানি শূন্য মরু এলাকাায় পরিণত করেছে। আন্তর্জাতিক আইনুযায়ী ভারত এটা করতে পারে না। আওয়ামী লীগের নতজানু পররাষ্ট্র নীতির কারণে ভারতের কাছ থেকে বাংলাদেশ পানির ন্যায্য হিস্যা থেকে বঞ্চিত রয়েছে। আমরা চাই বর্তমান অন্তর্বর্তীকালীন সরকার এ ব্যাপারে যথাযথ পদক্ষেপ গ্রহণ করবে।  

আগামী সংসদ নির্বাচনে রংপুর-২ আসনে দাঁড়িপাল্লা প্রতীকে ভোট চেয়ে তিনি বলেন, অনেক দল দেখেছেন, এবার  জামায়াতে ইসলামীকে দেখেন। আমাদের রাষ্ট্র পরিচালনার দায়িত্ব দিয়ে পরীক্ষা করেন। আগামী সংসদ নির্বাচনে আপনারা আমাদের ভোট দিয়ে নির্বাচিত করলে সরকারি বরাদ্দের আমানতের খেয়ানত হবে না। জনগণের কল্যাণে জনগণের আমানত ব্যবহার করব ইনশাআল্লাহ।

জামায়াতের সাবেক ভারপ্রাপ্ত সেক্রেটারি জেনারেল বলেন, বিগত ফ্যাসিস্ট আওয়ামী লীগ সরকার দেশের অনেক আলেম, যুবক, নারী-শিশুকে নির্বিচারে হত্যা এবং গুম নির্যাতন করে ক্ষমতায় থাকতে চেয়েছে। ছাত্র-জনতার রক্তের বিনিময়ে দেশ আজ জুলুমমুক্ত হয়েছে। আগামী নির্বাচনে দেশ এবং সমাজে শান্তি ও ন্যায় প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে ইসলামী শক্তির পক্ষে সবাইকে ঐক্যবদ্ধ থাকতে হবে।

এর আগে বিকেলে উপজেলার কুর্শা ইউনিয়নের রহিমাপুর মাদরাসা মাঠে মোহসিনুল হকের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত জামায়াতে ইসলামীর স্থানীয় ইউনিয়ন শাখার মহিলাদের উদ্যোগে আয়োজিত পৃথক সভায় বক্তব্য দেন এটিএম আজহারুল ইসলাম।

এসব পথসভায় জামায়াতে ইসলামীর বদরগঞ্জ উপজেলা নায়েবে আমির শাহ্ মুহাম্মদ রুস্তম আলী, তারাগঞ্জ উপজেলা জামায়াতে ইসলামীর আমির এস এম আলমগীর হোসেন, উপজেলা সেক্রেটারি মাওলানা ইয়াকুব আলী, কুর্শা ইউনিয়ন সেক্রেটারি মাওলানা আল-আমিন প্রমুখ বক্তব্য দেন। 

ফরহাদুজ্জামান ফারুক/আরএআর