গ্র্যাচুইটির পাওনা টাকার দাবিতে মানববন্ধন ও বিক্ষোভ সমাবেশ করেছেন ঠাকুরগাঁও সুগার মিলের অবসরপ্রাপ্ত শ্রমিক,কর্মকর্তা ও কর্মচারীরা। রোববার (১৯ অক্টোবর) দুপুরে অবসরপ্রাপ্ত শ্রমিক, কর্মচারী ও কর্মকর্তা কল্যাণ সমিতি ‘ঠাকুরগাঁও চিনিকল লিমিডেট’-এর ব্যানারে সুপারমিলের সামনে এ কর্মসুচি পালন করে।

সংগঠনের নেতারা জানিয়েছেন, ২০১৮-২৫ সাল পর্যন্ত অবসরে যাওয়া ২৯১ জন শ্রমিক, কর্মচারী ও কর্মকর্তার ২০ কোটি ২২ লাখ টাকা পাওনা রয়েছে।

মানববন্ধনে অংশ নেওয়া ওবাইদুর রহমান, নাসিমুর রহমান, আব্দুর রহমান, রুহুল আমিন,মকবুল হোসেন, আব্দুল আল মাহমুদসহ অকেকেই অভিযোগ করে বলেন, বছরের পর বছর অতিবাহিত হলেও বাংলাদেশ চিনি ও খাদ্য শিল্প কর্পোরেশনের অবসরপ্রাপ্ত শ্রমিক, কর্মচারী ও কর্মকর্তাদের গ্র্যাচুইটি বাবদ ২০ কোটি ২২ লাখ টাকা সহ অন্যান্য পাওনাদি এখনো পরিশোধ করেননি। সে কারনে আজ রাজপথে নামতে বাধ্য হয়েছেন তারা।

এ টাকা না পেয়ে তারা দুর্বিষহ মানবেতর জীবনযাপন করছে জানিয়ে তারা বলেছেন, বছরের পর বছর মিলটির দ্বারে দ্বারে ঘুরলেও টাকার অভাবে অনেকে বিনা চিকিৎসায় মারাও গেছেন। এখন শেষ বয়সে এসে অনেকেই স্ব স্ব পরিবারের কাছে বোঝা হয়ে আছেন।

তারা বলেন, অবিলম্বে অবসরপ্রাপ্তদের গ্র্যাচুইটির বকেয়া পাওনা ক্ষতিপূরণসহ সমূদয় অর্থ পরিশোধ করতে হবে, একই সাথে সরকারি নির্দেশ অনুযায়ী অবসরপ্রাপ্তদের উৎসব বোনাস, বৈশাখী ভাতা এবং চিকিৎসা ভাতা প্রদান করতে হবে। বাতিল করতে হবে অবসরপ্রাপ্তদের গ্র্যাচুইটির ২০% অর্থ প্রদান সংক্রান্ত বোর্ডের সিদ্ধান্ত। দ্রুত সময়ের মধ্যে পাওনাদি অর্থ পরিশোধ করা না হলে ঐক্যবন্ধ হয়ে ঢাকার রাজপথে আন্দোলনে নামার হুঁশিয়ারি দেন তারা।

এর আগে তারা বিক্ষোভ কর্মসুচি পালন করেন। কর্মসুচি পালন শেষে মিলের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. শাহজাহান কবিরের মাধ্যমে  প্রধান উপদেষ্টা ও শিল্প মন্ত্রণালয় বরাবরে স্মারকলিপি প্রদানের জন্য দাবিসমুহ কাগজপত্র তুলে দেন।

ঠাকুরগাঁও সুগার মিলের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. শাহজাহান কবির অবসরপ্রাপ্ত শ্রমিক কর্মচারীদের বকেয়া পাওনা টাকার কথা স্বীকার করে বলেন, স্বারকলিপির কপিটি চিনি শিল্পের হেড অফিসে প্রেরণ করা হয়েছে। হেড অফিসই এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেবে।

রেদওয়ান মিলন/এমটিআই